সন্তানকে অপহরণ করে দলবদলে বাধ্য করানো ! সিপিএমের অভিযোগ নিয়ে কী জানালেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া গীতা?

সন্তানকে অপহরণ করে দলবদলে বাধ্য করানো ! সিপিএমের অভিযোগ নিয়ে কী জানালেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া গীতা?

রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান : নির্বাচনে জিতে গণনাকেন্দ্রের মধ্যেই দলবদল ! সিপিএমের (CPM) টিকিটে জিতে গণনাকেন্দ্রেই তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়ার কথা জানান, কালনার কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৯ নম্বর আসনের জয়ী সিপিএম প্রার্থী গীতা হাঁসদা। যদিও বাম দলের পক্ষে অভিযোগ করা হয়, সিপিএম প্রার্থীর সন্তানকে অপহরণ করে দলে যোগ দিতে বাধ্য করিয়েছে শাসকদল। এবিপি আনন্দ-র স্টুডিওতে এসে যে অভিযোগ তোলেন বাম নেতা সায়নদীপ মিত্র। যার পরই শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক তরজা। ঘটনার সত্যতা জানতে ওই প্রার্থীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলাম আমরা।

সেখানে গিয়ে কী দেখা গেল ? পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতে বাড়ি ফিরে রাতের রান্নায় ব্যস্ত গীতা হাঁসদা। তাঁর সাত বছরের ছেলে ও আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে ঘরেই। সিপিএমের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বললেও তাঁর বাড়ির আশপাশে কোনও তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সন্তানরা বাড়িতে জানানোর পর ভয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল গীতা হাঁসদাকে। তিনি যে প্রশ্নে উত্তরে জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় দলবদল করেছি। কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি।

গুরুতর অভিযোগ নিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হতে ফোন করা হয়েছিল কালনার সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক আলিম শেখকে। তাঁর কথায়, ‘কোন কারণে দলবদল করেছেন জানা নেই। সিপিএমের হয়ে জিতেছেন, এটাই বড় কথা। আমার কাছে ভয় দেখানো বা অপহরণের কোনও খবর বা অভিযোগ নেই।’

প্রার্থী বা সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক যখন অভিযোগ নস্যাৎ করছেন। তখনও অবশ্য ভয় দেখানোর অভিযোগ থেকে সরতে নারাজ বাম নেতৃত্ব। এবিপি আনন্দতে গীতা হাঁসদার সাক্ষাৎকার দেখে স্টুডিওতে বসে সায়নদীপ মিত্রের বলেছেন, ‘উনি বললেন সার্টিফিকেট আমার কাছে নেই। ওঁদের কাছে আছে। তৃণমূল যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, সেটা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারছেন না।’ যার পাল্টা স্টুডিওতেই হাজির তৃণমূল প্রতিনিধি দেবাংশু ভট্টাচার্য-র বক্তব্য, ‘সিপিএম প্যাথলজিক্যাল লায়ার। একের পর এক মিথ্যা বলা ওদের স্বভাব।’ এদিকে, কালনার তৃণমূল নেতা চঞ্চল সিংহ রায় বলেছেন, ‘উনি (গীতা হাঁসদা) তৃণমূল করতেন। আমাদের দলের সঙ্গে কিছু সমস্যা হওয়ার জন্য উনি সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন, তাই উনি জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, কালনার কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮টি আসন। এর মধ্যে ১৭টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। একটিতে জিতেছিল সিপিএম। সেই তাঁকেও দলে টেনে নিল তৃণমূল। আর যাঁর দলবদল ঘিরে চলল তীব্র রাজনৈতিক তরজা।

(Feed Source: abplive.com)