আর লাগবে না গরম জল, এবার ভাত করা যাবে ঠান্ডা জলেই! ভারতে চাষ হচ্ছে ম্যাজিক ধানের

আর লাগবে না গরম জল, এবার ভাত করা যাবে ঠান্ডা জলেই! ভারতে চাষ হচ্ছে ম্যাজিক ধানের

বিহার: কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষে নানা জাতের ধান চাষ করা হয়। কে কোন চাল কিনে ভাত রাঁধবেন, তার জন্য রয়েছে অঢেল বিকল্প। পোলাওয়ের জন্য বাসমতি, পায়েসের গোবিন্দভোগ থেকে শুরু করে হাজার রকমের চালের সম্ভার। কিন্তু চাল থেকে ভাত হতে যেটা অবশ্য প্রয়োজন, তা হল গরম জল, ফুটন্ত গরম জল। না হলে ভাত হবে কী করে!

এবার হবে। অন্তত দাবি তো তেমনই। বিহারের পূর্ব চম্পারণে উৎপাদিত হচ্ছে ‘ম্যাজিক রাইস’। জেলার কোতোয়া ব্লকের গোপী চাপড়া পঞ্চায়েতের সাগর চূড়ামন গ্রামের বাসিন্দা কৃষক প্রয়াগদেব সিং এখানে অসমের জাদু ধান চাষ করছেন। তিনি ১০ কাঠা জমিতে এই বিশেষ ধান চাষ করছেন। তাঁর সাফল্য দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন এলাকার অন্য কৃষকরা। তাঁরাও এখন এই ফসল চাষ করতে চাইছেন।

আসলে, অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বৃহৎ পরিসরে জন্মায় ‘বোকা-চকুভা চাল’। স্থানীয় ভাবে এই চালকে ‘ম্যাজিক রাইস’ বলা হয়। এই চাল ভারত সরকারের কাছ থেকে ‘জিআই’ ট্যাগ পেয়েছে। ম্যাজিক রাইসের বিশেষত্ব হল এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা জল রাখলেই তা ভাতের মতো সিদ্ধ হয়ে যায়।

কৃষক প্রয়াগদেব সিং বলেন, এই চাল বিশেষ। যেভাবে গুড়, দই, জল মিশিয়ে চিঁড়ে খাওয়া হয়, ঠিক সেই ভাবে এই চালও দুধ, দই, ঘি দিয়ে মেখে খাওয়া যেতে পারে। এই চালে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটা বেশি। কৃষকের দাবি, তিন দিন এই চালের ভাত খেলে চতুর্থ দিনেই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।

বিহারের বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য এই ফসল সত্যিই ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। এই ফসল মূলত চাষ করা হয় অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। ফসল প্রস্তুত হতে প্রায় ১৮০ দিন সময় লাগে। এই ধান গাছ সাত ফুট মতো লম্বা হয়। সাধারণত নিচু জমিতে রোপণ করা হয়, যাতে সব সময় জল পেতে পারে।

পূর্ব চম্পারণের খেতে প্রতি কাঠায় এক কুইন্টাল করে এই ম্যাজিক রাইস উৎপন্ন হচ্ছে। এই চাল কিছুটা মোটা। বাজারে প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হয় এই চাল।

(Feed Source: news18.com)