চন্দ্রযানের ক্যামেরা বানিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী, চাঁদের দেশে ভারতের পাড়িতে উচ্ছ্বাস

চন্দ্রযানের ক্যামেরা বানিয়েছেন বাঙালি বিজ্ঞানী, চাঁদের দেশে ভারতের পাড়িতে উচ্ছ্বাস

সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারত (India)। গর্বের রেশের মাঝেই দেশবাসীর অপেক্ষা আমেরিকা-রাশিয়া-চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে নামার। ভারতীয়রা জানেন কঠিন লড়াইটা এখনও বাকি। কারণ বছর চারেক আগে চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে নামার মুখে ভেঙে টুকরো-টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকে শিক্ষা নিয়েই নতুনভাবে স্বপ্ন ছোঁয়ার উড়ান ধরা। আর সেই গর্ব-স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য সবথেকে বেশি যাঁদের ওপর ভরসা করেছে ইসরো (ISRO), তিনি একজন বাঙালি বিজ্ঞানী। অনুজ নন্দী (Anuj Nandi)। চন্দ্রযান ৩-র ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা।

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ নন্দী। তারপর আর পিছন তাকাতে হয়নি তাঁকে ৷ বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। যখন ছেলের কাজের দিকে তাকিয়ে দেশবাসী তখন গর্বে-আনন্দে চোখে জল অনুজের মা শোভা দেবীর। চন্দ্রযানের উড়ে যাওয়া গোটা দেশের সঙ্গে দেখেছেন অনুজের পরিবারের লোকজনও। আপাতত দেশবাসীর মতোই তাঁদেরও অপেক্ষা চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayan 3) চাঁদের মাটিতে সফলভাবে নামার। ছেলের বানানো ক্যামেরার চোখে ভর করেই দেশ যে কাজ করতে পারবে বলেই আশা-ভরসায় বুক বাঁধছে ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার পরিবার।

বাঙালি বিজ্ঞানী শোভা নন্দীর মা বলেছেন, ‘মাসখানেক আগেই বাড়িতে এসেছিল। চন্দ্রযান ৩ উড়ে যাওয়ার পরে বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে কথাও হয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে বসে সফল উৎক্ষেপণ দেখেছি।’ বাঙালি বিজ্ঞানী অনুজ যখন তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষার সামনে তখন তাঁর ভাই অনিমেশ ও ছেলে ঠায় বসে ছিলেন বাড়ির টেলিভিশন সেটের সামনে। সফল উৎক্ষেপণের প্রার্থনা করে স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন অনুজের ভাইয়ের স্ত্রী রিঙ্কু নন্দী।

প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩- এর অভিযান শুরু থেকে শেষ করতে সময় লাগবে মোট এক চন্দ্র দিন অর্থাৎ প্রায় পৃথিবীর প্রায় ১৪ দিনের সমান। এতে যে ল্যান্ডার রয়েছে সেটি চাঁদের মাটিতে মাসখানেকের একটু বেশি সময় ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। ২২ বা ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার কথা চন্দ্রযান ৩-এর।

(Feed Source: abplive.com)