হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা নয়, ইঁদুর রুখতে জোড়া কৌশলই আপাতত ভরসা কলকাতা পুরসভার

হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা নয়, ইঁদুর রুখতে জোড়া কৌশলই আপাতত ভরসা কলকাতা পুরসভার

ইঁদুরের দাপাদাপিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। এই সমস্যা শুধু বর্তমানের নয় ভবিষ্যতেওর। আগামী দিনে প্লেগের মতো মহামারী ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে শহরে। তাই সমাধানে এখন থেকে উঠেপড়ে লাগতে চাইছে পুরসভা। প্রচার এবং ফুটপাথের মতো পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপাদানে বদল এনে ধেড়ে ইঁদুরের দাপাদাপি রুখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।

পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, পার্ক স্ট্রিট, চৌরঙ্গী, হাতিবাগান, খান্না, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, হাজরা এবং বড়বাজারের মতো এলাকায় খাবার দোকানের সঙ্গে খাবার মজুত করারও গুদাম রয়েছে। তাই এই এলাকাগুলোতেই ইঁদুরের উৎপাত বেশি বলে জানিয়েছেন পুরকর্তারা। তাই এই সব এলাকায় প্রচারে জোর দেবে পুরসভা। এছাড়া বিভিন্ন বাজার এলাকার বাসিন্দাদের বোঝানো হবে তাঁরা যেন রাস্তার যত্রতত্র খাবার না ফেলেন। পুরসভার পক্ষ থেকে রাখা নির্দিষ্ট বিনে খাবার ফেলার কথা পরামর্শ দিচ্ছেন পুরকর্তারা। এর পরে কেউ যদি বিন না ব্যবহার করেন তবে তাঁকে নোটিশ দেওয়া হবে। তার পরে যদি যত্রতত্র ময়লা ফেলতে থাকেন তবে পুরআইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। নতুন কৌশলে তৈরি করা হচ্ছে ফুটপাথ। আগে ফুটপাথ তৈরি হতো ইট কিংবা পাথরের টুকরো বিছিয়ে তার উপর বালি দিয়ে পেভার ব্লক বসানো হতো। কিন্তু দেখা যাচ্ছিল ফুটপাতের তলা দিয়ে ইঁদুর সুড়ঙ্গ তৈরি করে চলাচলের রাস্তা বানিয়ে ফেলছিল। ফলে বসে যাচ্ছিল ফুটপাত। তবে এখন ফুটপাথ তৈরির সময় মেশানো হয় কাঁচের গুড়ো। সেই সঙ্গে কংক্রিট করে তাঁর উপর ইট বসিয়ে বাসনো হচ্ছে পেভার ব্লক। তবে ধেড়ে ইঁদুরের দাপাদাপি রুখতে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে পুরসভা।

কলকাতা পুরসভা দাবি, এই সমস্যা কলকাতার নয়। দেশ ও বিদেশের শহরের ইঁদুরের উৎপাত রয়েছে। প্যারিস তো ইদুঁর সামলাতে হিমশিম। তবে সমাধানে যে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার অপেক্ষায় বসে নেই তাও জানিয়েছে পুরসভা।

(Feed Source: hindustantimes.com)