‘মন্ত্রী-আমলারা ফোনে দুর্বল মুহূর্তের ছবি পাঠিয়ে যৌনতা চাইত’,দাবি শোভনের বৈশাখীর

‘মন্ত্রী-আমলারা ফোনে দুর্বল মুহূর্তের ছবি পাঠিয়ে যৌনতা চাইত’,দাবি শোভনের বৈশাখীর

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরিত্র নিয়ে কাঁটাছেড়া কম হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেভাবে কোনওদিনই আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেননি তিনি। বরং, একমাত্র মেয়ে মহুল, শোভন-সহ ভালোবাসার সব মানুষ ও নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টাই চালিয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, রাজ্যের শাসক অন্দরের কিছু ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেন একসময়ে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করা বৈশাখী। জানান, ‘অনেক নেতা-মন্ত্রী তাঁদের দুর্বলতম মুহূর্তের ছবি পাঠিয়েছিল তাঁকে।’

আজতক বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এর আগে বৈশাখী দাবি করেছিলেন, তাঁর চরিত্র নিয়ে তাঁর মুখের উপর এসে অপমান চেষ্টা করেছিল এমন এক মহিলা যে নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিল শোভনের ফোনে। আর তা দেখেছিলেন বৈশাখী। আর তাই সেই মহিলা যখন তাঁকে অপমান করার চেষ্টা করেন সাবধান করে বৈশাখী বলেছিলেন, ‘তোমার নগ্ন ছবিগুলো এখনও আমার কাছে আছে। তুমি যদি সতী হও, আমি অনেক বেশি সতী। আমাকে নগ্ন শরীর দেখিয়ে টিকিট পাঠাতে হয় না।’

বৈশাখী আরও জানান, শুধু শোভন নয়, অনেক খারাপ প্রস্তাব এসেছে তাঁর কাছেও। শোভন-বান্ধবী জানালেন, অনেক পুরুষ তাঁকে একসময় দুর্বলতম মুহূর্তের ছবি পাঠাতেন। সেই তালিকায় ছিলেন অনেক নেতা-মন্ত্রীও। বৈশাখীর কথায়, ‘যেহেতু অনেকে জানত আমার বিবাহিত জীবন সুখের নয় তাই তাঁরা সুযোগ নিতেন। সেই সময় কত পুরুষ যে এসেছে। যারা তাঁদের বিভিন্ন ছবি আমার ফোনে নিশ্চিন্তে পাঠিয়ে দিত। আমার মনে হয় বোকা। বোকা না হলে এই কাজ করতাম না। আমি চাইলেই এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারতাম। কিন্তু এদের আমি নরকের কীট মনে করি। এরা তো ভালোবাসা ভিক্ষা চাইত না, যৌনতা ভিক্ষা চাইত। তবে শোভন আমার জীবনে আসার পর এসব বন্ধ হয়ে গেছে। সভ্য হয়ে গেছে।’

বৈশাখী এই সময়ই জানান, তিনি যখন শোভনের হাত ধরে বেরিয়ে এসেছিলেন তখন প্রাক্তন স্বামী মোনোজিত তাঁকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘তুই এই লোকটার সঙ্গে যাচ্ছিস। এ জামার মতো করে মেয়ে বদলায়।’ বৈশাখী জানান, প্রথমটা শুনে একটুি থমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শোভনের জীবনে আসার পর আর কোনও নারী শোভনের জীবনে আসেনি। চোখ বন্ধ করে তিনি ভরসা করতে পারেন। ২০২১ সালেই শোভনের নামের সিঁদুর পরে নিয়েছেন মাথায়, তাও আবার মা দুর্গাকে সাক্ষ্মী রেখে। তিনি ডিভোর্স পেলেও শোভন এখনও খাতায়-কলমে রত্নার স্বামী। তবে রত্না-শোভনের আইনি বিচ্ছেদ হলেই বিয়েটা করার ইচ্ছে রয়েছে দুজনেরই মনে।

(Feed Source: hindustantimes.com)