আমিষ না নিরামিষ? খাবার বৈষম্য নিয়ে তুমুল শোরগোল আইআইটিতে! পড়ল বিতর্কিত পোস্টার

আমিষ না নিরামিষ? খাবার বৈষম্য নিয়ে তুমুল শোরগোল আইআইটিতে! পড়ল বিতর্কিত পোস্টার

ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইআইটি–বম্বে এবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। আমিষ এবং নিরামিষ খাবার খাওয়া নিয়ে বৈষম্য দেখা গেল ভারত বিখ‍্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। রিপোর্ট অনুসারে, আইআইটি–বম্বে ১২, ১৩ এবং ১৪ হস্টেলে, যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আমিষ খাবার খান তাঁদের মেসের একটি নির্দিষ্ট বিভাগে বসতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাঁদের জন্য আলাদা খাবার প্লেট সরবরাহ করা হয়েছে।

আমিষ খাবার খাচ্ছেন যে সকল পড়ুয়ারা তাঁদের দাবি যে এই ঘটনাটি বছরের পর বছর ধরে চলছে। আইআইটি’‌র হস্টেল ক্যাম্পাসে এক ছাত্র আমিষ খাবার খেয়েছে। এটা জানতে পেরে অন্যান্য ছাত্ররা তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করেন। এমনকী ‘শুধু নিরামিষাশীরা এখানে বসতে পারবে’ সেই রকম পোস্টার ক‍্যাম্পাসে পড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। নিরামিষ খাবার যাঁরা খান তাঁরা আমিষ খাবার খাওয়া ছাত্রের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পড়ল বিতর্কিত পোস্টার

তিন মাস আগে এই বিষয়টি নিয়ে একটি আরটিআই করা হয়েছিল। এক ছাত্রের করা সেই আরটিআইয়ের জবাবে আইআইটি প্রশাসন এ ধরনের কোনও বৈষম্যের কথা স্বীকার করেননি।

এদিকে, পিটিআই-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, ইনস্টিটিউট দাবি করেছে যে তাঁরা ক্যান্টিনে পোস্টারগুলি সম্পর্কে অবগত। কিন্তু কে বা কারা সেই গুলি লাগিয়েছিল তা জানেন না। হস্টেলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমিষ বা নিরামিষ খাবার গ্রহণকারী কোনও পড়ুযার জন্য কোনও নির্দিষ্ট আসন নেই। পোস্টারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সম্পর্কে ইনস্টিটিউট অবগত নয়।’

ঘটনার পরে, হোস্টেলের সাধারণ সম্পাদক সমস্ত ছাত্রদের কাছে একটি ইমেল পাঠিয়ে স্পষ্ট করেন, ‘হোস্টেলের মেসে জৈন খাবার বিতরণের জন্য একটি কাউন্টার রয়েছে, তবে যারা জৈন খাবার খান তাদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট বসার জায়গা নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের আচরণ অগ্রহণযোগ্য এবং কোনও ছাত্রেরই অধিকার নেই যে কোনও ছাত্রকে মেসের কোনও এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার। কারণ কোনও জায়গা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত নয়। যদি এই ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

(Feed Source: news18.com)