কালীপুজোর দিন নিরাপত্তা নিয়ে জটিলতা, ইডেনে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ করতে ভরসা মুখ্যমন্ত্রী?

কালীপুজোর দিন নিরাপত্তা নিয়ে জটিলতা, ইডেনে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ করতে ভরসা মুখ্যমন্ত্রী?

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ইডেনে (Eden Gardens) ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) ৫টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত সিএবি কর্তারা। তবে টুর্নামেন্টের মাস দুয়েক আগে আচমকাই উদ্বেগের কালো মেঘ বঙ্গ ক্রিকেটের মসনদে। কারণ, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে আচমকাই তৈরি হয়েছে জটিলতা।

বিশ্বকাপে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড (Pakistan vs England) হাইভোল্টেজ ম্যাচটি পড়েছে কালীপুজোর দিন। ১২ নভেম্বর, রবিবার। সেদিন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামলে ইডেনে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব সামলাতে নারাজ পুলিশ। সিএবি কর্তাদের সেই বার্তা দেওয়াও হয়েছে লালবাজারের তরফে। আর তারপরই শুরু হয়েছে ম্যাচ নিয়ে টানাপড়েন।

সিএবি-র বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ভারতীয় বোর্ডের কাছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিন পরিবর্তনের আর্জি জানানো হয়েছে। যদিও বোর্ড এখনও সূচি পাল্টাতে রাজি বলে খবর নেই। বরং ওই দিনেই ম্যাচ করতে চায় তারা। সিএবি থেকে পাল্টা বলা হচ্ছে, নবরাত্রির জন্য আমদাবাদে ভারত-পাকিস্তানের মতো মহারণের দিন বদলানো গেলে, ইডেনে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিনই বা বদল করা যাবে না কেন! এ ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে আরও আলোচনা করা হতে পারে।

কিন্তু জয় শাহ-রজার বিনির বোর্ড যদি একান্তই নমনীয় না হয়?

প্ল্যান বি-ও ভেবে রাখছে সিএবি। শোনা গেল, কালীপুজোর দিনই ম্যাচ করতে হলে মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য় প্রার্থনা করা হবে। সিএবি সূত্রে খবর, পুলিশি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা হতে পারে। তিনি যেহেতু রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও, তাই মমতা নির্দেশ দিলে পুলিশ নিরাপত্তার আয়োজন করবে বলেই সিএবি কর্তাদের আশা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লালবাজারে গিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব নরেশ ওঝা। তারপরই জানা যায় যে, ১২ নভেম্বরের ম্যাচ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সিএবি কর্তারা অবশ্য বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সূচি হেরফের করে ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু বোর্ড থেকে খুব একটা আশাব্যাঞ্জক ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলেই খবর। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার মতো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হোক, চান না সিএবি কর্তারা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করার কথাই ভাবা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

(Feed Source: abplive.com)