ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনও ডিগ্রি নেই, তবুও গুগলে চাকরি পেলেন পুণের এমআইটি ওয়ার্লড পিস ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া হর্ষল জুইকার। পড়ুয়াকে বছরে ৫০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে গুগলের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। নিজের দক্ষতার জোরে গুগলে বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি নিশ্চিত করে ফেলেছেন হর্ষল! এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার সহপাঠী থেকে আত্মীয়স্বজন সকলেই।
আইআইটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে গুগলের মত টেক জায়েন্ট কোম্পানিতে বার্ষিক ৬০-৭০ লক্ষের প্যাকেজ খুব একটা অবাক করা বেতন নয়। কিন্তু আইআইটি বা ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও হর্ষলের এই চাকরির খবর চমকে দিয়েছে সবাইকে। মুম্বইয়ের ছেলে হর্ষল, স্নাতকের পর পুণের এমআইটি-ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটি থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর পাস করেন। ব্লকচেইন প্রযুক্তি একটি অপ্রচলিত কোর্স যা অনেকেই বেছে নেয় না। তবে হর্ষলের এই সাফল্যের পর এই ধরণের বিষয়ে পড়াশোনার অনুপ্রেরণা দেবে অনেককেই।
এই সাফল্যের পর সে জানায়, ‘কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রির পড়াশোনা করার সময়ে আমি ক্রমাগত দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিই। আমি উপলব্ধি করেছিলাম, এই দ্রুতগতির বিশ্বে টিকে থাকতে গেলে নিজেকে প্রযুক্তিগত বিষয়ে আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। তাই প্রথাগত পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধির পিছনে সময় দিতাম’। তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি MIT-WPU, পুনে থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে মাস্টার্স করছিলাম, তখন আমি শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মৌলিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেয়েছিলাম এবং বিশাল ডেটাসেটে কাজ করা, পরিসংখ্যানগত অ্যালগরিদম বিশ্লেষণ করা, ব্যবহারিক সমস্যার সমাধান করা এবং এর পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মডেল তৈরি করতে হয়েছিল ‘। তবে সাফল্য যে এইভাবে ধরা দেবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি হর্ষল। তিনি বলেন, ‘আমি কাজে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
বরাবরের মেধাবী ছাত্র হর্ষল চাকরির চিঠি হাতে পেয়ে জানিয়েছে , এ যেন তার কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। তার পরিশ্রম কাজে এসেছে। সে জানায়, ‘আমি একজন ইন্টার্ন হিসেবে গুগলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এর ফলে আমি খুব কাছ থেকে দেখতে পাব ও শিখতে পারবো।’ ভবিষ্যৎ প্রজন্মেদের কাছে তার পরামর্শ, শুধু মাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং একমাত্র ভাল চাকরি পাওয়ার উপায় নয়। ব্যতিক্রমী অনেক পথ আছে। একটু ঝুঁকি নিয়ে কঠোর অধ্যাবসা করলেই ভালো ফল মিলবে। হর্ষল জুইকা’র সাফল্য এখন অনুপ্রেরণা জোগাবে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে।
(Feed Source: hindustantimes.com)