টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষক গ্রেফতার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম

টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষক গ্রেফতার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম

প্রকাশ সিনহা ও অতনু হালদার, কলকাতা : টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এই প্রথম চাকরি কেনা ৪ শিক্ষক জেলে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের। আদালতে ডেকে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠালেন বিচারক। আদালতে ডেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের। গ্রেফতার হওয়া ৪ শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বাসিন্দা। তাদের পাঠানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর টাকা দিয়ে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন চার অযোগ্য শিক্ষক।

সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে নাম ছিল ধৃত ৪ শিক্ষকের। কিন্তু চার্জশিটে কেন সাক্ষী হিসেবে নাম ? প্রশ্ন তোলেন বিচারক। যারপরই চার অযোগ্য শিক্ষক জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গল হোসেন, সিমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম গ্রেফতার করা হল অযোগ্য শিক্ষকদের। এর পর কী এই ধারা বজায় থাকবে ? উঠে গেল বড় প্রশ্ন। যা নিয়ে একপক্ষের আইনজীবীদেরও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও অপরপক্ষের ব্যাখ্যা, এই গ্রেফতারি না হলে দাঁড়াতই না মামলা। সবমিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমবার চার অযোগ্য শিক্ষক গ্রেফতারিতে সরগরম রাজ্য।

‘যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা?’ বারবার প্রশ্ন তোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। কেন অভিযুক্তদের সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে? প্রশ্ন আদালতের। ‘পার্থ, কুন্তল টাকা চাইতে যায়নি, এরাই টাকা দিয়ে চাকরি চুরি করেছে’, কোর্টে আত্মসমর্পণের পর জামিনের আবেদন খারিজ, জেলে পাঠাল কোর্ট।

নিয়োগ দুর্নীতির জাল কীভাবে ছড়িয়েছে, কাদের তাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, কীভাবে চলত গোটা চক্র এই সমস্ত তথ্য জানার ক্ষেত্রে অযোগ্য শিক্ষকদের থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বলে সাক্ষী হিসেবে তাদেরকে দেখানো হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা নিয়ে তীব্র উষ্ণাপ্রকাশ করে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরা নিজেরা চাকরি ‘কিনতে’ টাকা দিয়েছেন। তাই দুর্নীতির দায়ে এই শিক্ষকরাও সমানভাবে দুষ্ট। তাই তাঁদের সাক্ষী নয় অভিযুক্ত হিসেবে জানিয়ে জেলে ভরার নির্দেশ দেন বিচারক।

(Feed Source: abplive.com)