আজ ছিল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) সংসদে জানান, আজ বিতর্কে বক্তব্য রাখবেন রাহুল গাঁধী। সেই মত বক্তব্য শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ। মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধোনা করেন তিনি। একের পর এক চাচাছোঁলা ভাষায় বিদ্ধ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। সরকার “ভারত মাতাকে হত্যা” করেছে বলে অভিযোগ তোলেন।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, “ভারত একটা আওয়াজ, হৃদয়ের আওয়াজ। আপনারা সেই আওয়াজকে হত্যা করেছেন মণিপুরে। আপনারা মণিপুরে ভারত মাতকে হত্যা করেছেন। বিশ্বাসঘাতক আপনারা। আমার মা এখানে বসে আছে। কিন্তু, আমার অপর মা ভারত মাতাকে মণিপুরে হত্যা করেছেন। আপনারা ভারত মাতার রক্ষক নন, ভারত মাতার খুনি আপনারা।” এরপর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে যাননি, কারণ তিনি এটাকে ভারতের অংশ বলে মনেই করেন না। মণিপুরকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন।”
সেই সময় ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। রাহুল বলতে থাকেন, “সেনা নামিয়ে মণিপুরে হিংসা থামাতে পারে কেন্দ্র, কিন্তু, সেটা তারা করেনি।” এরপর রামায়ণের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, রাবণকে রাম হত্যা করেননি, ওঁর মৃত্যু হয়েছে ঔদ্ধত্যের জেরে। সাম্প্রতিক কালের গুরুগ্রাম ও নুহ-র হিংসার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, “আপনি সর্বত্র কেরোসিন ছড়িয়েছেন। আপনি মণিপুরে আগুন জ্বালিয়েছেন। হরিয়ানাতেও সেই একই জিনিস করতে চাইছেন।” তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিশাল হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায় সংসদে। একাধিক মন্ত্রী রাহুলের ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেন। এককথায়, আজ সারাদিন কার্যত চরম দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সংসদ।
বিরোধীদের যাবতীয় সমালোচনার জবাবে কাল প্রধানমন্ত্রী কী বলেন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। তবে তারা বলছে, কংগ্রেস যে দাবিতে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলেছে, কাল প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণে তা হাসিল হয়ে যাবে।
(Feed Source: abplive.com)