অঞ্জলি শর্মা, কনৌজ: পারফিউম বা সুগন্ধীর শহর বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের কনৌজ। এই পারফিউম সিটির তিরওয়া এলাকায় একটি সমোসার দোকান রয়েছে। যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। এই দোকানটির নাম মন্নু সমোসা কর্নার।
প্রধান বাজারের এই মন্নু সমোসা কর্নার এলাকায় তো বটেই, দূরদূরান্তেও বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে! বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে এখানকার জিভে জল আনা সমোসা চেখে দেখতে। ফলে ঘণ্টায় ১০০, ২০০ তো নয়ই, এমনকী ৫০০-ও নয়। এখানে ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ সমোসা বিক্রি হয়। আর এটা রোজকার চেনা ছবি! আসলে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমোসার দোকান চালাচ্ছেন মন্নু। প্রতিদিন বিকাল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্নুর সমোসার দোকান।
কিন্তু এখানকার সমোসার বিশেষত্ব কী? দোকানের মালিক মন্নু জানান, ‘‘আমাদের দোকানের সমোসায় একটা বিশেষ মশলা ব্যবহার করা হয়। যেখানে জিরে, জোয়ান, লবঙ্গ, গোলমরিচ, ধনে, শুকনো লঙ্কা, জায়ফল, দারচিনি, শুকনো আদা, লবণ-সহ আরও নানা মশলা বাড়িতে এনে তা সাফসুতরো করে মিহি ভাবে পেষাই করে নিয়ে ব্যবহার করা হয়। আর সমোসার পুরের মধ্যে যে আলু ব্যবহার করা হয়, সেটাও অত্যন্ত ভাল মানের! এখানেই শেষ নয়, ময়দাও ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত ভাল মানের। তবে যে সে তেলে কিন্তু সমোসা ভাজা হয় না! কারণ যে তেলে সমোসা ভাজা হয়, তার উপরও বিশেষ নজর রাখা হয়।’’
এমনকী সিঙাড়া ভাজার জন্য একবার বা দু’বার ব্যবহার করার পরে তেল পরিবর্তন করা হয়। এই সিঙাড়ার গুণগান করছেন এই এলাকার গ্রাহকরাও। তাঁদের বক্তব্য, এই সিঙাড়ার গুণমানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। আর তার দামও তেমন একটা বেশি নয়। দোকানে মাত্র ১৫ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে ২টি সমোসা। আর সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এই সমোসায় সম্পূর্ণ রূপে ঘরে পেষাই করা মশলাই ব্যবহার করা হয়। ফলে সমোসা খেয়ে গ্রাহকদের কোনও রকম সমস্যায় পড়তে হয় না।