‘তোর হস্টেলের বাবা কে..?’ প্রথম বর্ষের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে গায়ে কাঁটা দেওয়া পোস্ট

‘তোর হস্টেলের বাবা কে..?’ প্রথম বর্ষের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে গায়ে কাঁটা দেওয়া পোস্ট

কলকাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে ছাত্র মৃত্যু ঘিরে উঠেছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। আর এই অভিযোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে একের পর এক ছাত্রের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এমনই একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন করে উসকে দিচ্ছে স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর মৃত্যুর পিছনের অন্যতম কারণ হিসেবে র‍্যাগিংয়ের আশঙ্কাকে। তুলনামূলক সাহিত্যের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সায়ন সেনগুপ্ত কার্যত সেই দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে।

সায়ন লিখেছেন, ঠিক কী কী কথোপকথন শুনেছেন নামী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে। ঠিক কেমন সম্বোধন পেয়েছেন ‘সিনিয়র’দের কাছে? তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন সায়ন। আর তাঁর এই ফেসবুক পোস্ট নতুন করে বাড়িয়েছে জল্পনা, তবে কী একই রকম কোনও ঘটনার শিকার হতে হয়েছিল হাঁসখালির পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপকেও?

এদিকে, অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। প্রাথমিক এই রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদ্বীপের। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টে আরও জানা যাচ্ছে, মদ্যপানের কোনও প্রমাণ তাঁর শরীরে মেলেনি।

মাথার বাঁ দিকের হাড়ে চিড় ছিল স্বপ্নদ্বীপের শরীরে। বাঁ দিকের পাঁজরের হাড়ও ভেঙে যায় ভেঙে গিয়েছিল কোমর। সেই কারণেই অভ্যন্তরীণ আঘাত গুরুতর হয়ে উঠেছিল বলে প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টে দাবি করা হয় আজ।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে প্রাণ হারান প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডু। তাঁর এমন ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। তিনি বারান্দা থেকে নিজেই ঝাপ দিয়েছিলেন স্বপ্নদ্বীপ নাকি এর পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। চলতি বছরেই কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন নদিয়া জেলার হাঁসখালির বগুলা এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডু। মাত্র আঠেরো বছর বয়সে কৃতি ছাত্রের আকস্মিক মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা শহরকে।

(Feed Source: news18.com)