খানাকুল ১ নং পঞ্চায়েতে মোট ১৭টি আসন ছিল। তার মধ্যে ৮টি পায় বিজেপি, ৮টি পায় তৃণমূল। ১টি পায় সিপিএম। সিপিএমে যিনি প্রার্থী ছিলেন, তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করেন। তার জেরে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। তার পরই হঠাৎ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও তৃণমূল। শুরু হয় ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি। অভিযোগ, গুলি পর্যন্ত ছোড়া হয়। একাধিক কাঁচের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে চারিদিকে। এই এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। তার পাশে প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। এর জেরে কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের খানাকুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন পঞ্চায়েত বোর্ড ঘিরে অশান্তি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারেও। বোর্ড গঠনের আগে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠল। পুরনো মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সিপিএমের জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারের পর এমনই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রেফতারির প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ, বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার করিয়েছে।
বোর্ড গঠনের আগে সিপিএমের এই জয়ী সদস্যকে অঞ্চল অফিসের ভেতর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানে আজ বোর্ড গঠনের কথা ছিল। সিপিএমের জয়ী সদস্য শেখ জব্বর যখন বোর্ড গঠনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেতরে আসেন, পুলিশ তাঁকে একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতার করে বলে নন্দকুমার থানা সূত্রে খবর। এই জব্বরের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফেরার ছিলেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে পুলিশের একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
(Feed Source: abplive.com)