সুপ্রিম-ধাক্কা খেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বহাল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই

সুপ্রিম-ধাক্কা খেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বহাল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই

রাজীব চক্রবর্তী, নয়াদিল্লি:  একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবার সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।নির্বাচনের হিংসার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত আগেই খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় রাজ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আবেদন খারিজ করতে গিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপ সংবিধান বিরোধী।বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মানবাধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপকে মান্যতা দেওয়ার অর্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে খর্ব করা হবে।এদিন শুনানি চলাকালীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আদালতের করা প্রশ্ন, মাত্র কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে কেন ? গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার হলে তারাই করবে। এখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কোনওভাবেই তা করতে পারে না। নজরদারির কোনও এক্তিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেই। হাইকোর্ট মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। তারপরেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কার্যত চেপে ধরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্বে থাকলেও কেন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনায় হস্তক্ষেপ করছে মানবাধিকার কমিশন ? বিচারপতিরা সাফ জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তে সীলমোহর দিলে কার্যত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব অস্বীকার করা হয়। মানবাধিকার কমিশন অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করছে।

(Feed Source: news18.com)