জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গানের জগতে শ্রোতাদের এই প্রজন্মের অন্যতম পছন্দের জুটি ছিল শোভন গঙ্গোপাধ্যায়(Shovan Ganguly) ও ইমন চক্রবর্তী(Iman Chakraborty)। শুধু মঞ্চে নয়, তাঁদের সেই রসায়ন ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কেও। কিন্তু একটা সময় পর সেই সম্পর্কে আসে বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদের পর দুজনেই যে যাঁর মতো জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তবে মঞ্চে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের। এবার ফের এক মঞ্চে দেখা গেল দুই সংগীতশিল্পীকে। নেপথ্যে যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu U Sengupta)।
সম্প্রতি রবীন্দ্র তিরোধান দিবসে নজরুল মঞ্চে পরিবেশিত হল “আজ ও আগামী বিদায়ের উদযাপনে, সমাপ্তির সমাবর্তনে, বাইশে শ্রাবণ”। এই অনুষ্ঠানের নেপথ্যে মূল কারিগর বিশিষ্ট অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেল যন্ত্রশিল্পীর ভূমিকায়। সবাই জানেন যীশু ভালো ড্রাম বাজান। এই অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গেল ড্রামার হিসাবে। তাঁর ভাবনায় এক মঞ্চে দেখা গেল কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, সৌরভ দাস, ইন্দ্রাশীষ রায় ও অঙ্কিতা চক্রবর্তীকে। রবি ঠাকুরের চলে যাওয়ার দিনটি একটু অন্যরকমভাবেই পালন করলেন সবাই।
২২ শ্রাবণ আপামর বাঙালির কাছে আজও শোকের দিন। কিন্তু যাঁর প্রয়াণ ঘিরে এই শোক, তিনি নিজে বিশ্বাস করতেন বিদায়ের উদযাপনে, সমাপ্তির সমাবর্তনে। তাই এই বছর ২২ শ্রাবণ একটু অন্যরকমভাবে পালিত হল কবির গান, কবিতা, নাটক,ভাবনার মধ্যে দিয়ে। গানে ছিলেন শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও ইমন চক্রবর্তী। শেষের কবিতার অংশ বিশেষ নাট্যরূপে পরিবেশন করেন সৌরভ দাস, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, অন্যদিকে রক্তকরবী এর নির্বাচিত অংশের নাট্যরূপ পরিবেশন করেন সোহিনী সরকার, ইন্দ্রাশীষ রায়।
সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাবনা, আবহ,পরিচালনায় যীশু এন্ড দ্য রেট্রোডিকশনস। দ্য ট্রায়ালের প্রচারের সময়েই জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে যীশু জানিয়েছিলেন কীভাবে ওয়ার্ল্ড মিউজিকের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গানকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির পাশাপাশি নিজের লেখা দিয়ে অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্য নির্মান করেছিলেন কবি শ্রীজাত। ইমনের গাওয়া গানের মধ্যে একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ, তোমায় গান শোনাবো মুগ্ধ করে শ্রোতাদের। অন্যদিকে শোভনের কন্ঠে মাঝে, মাঝে তব দেখা পাই, সমবেত কণ্ঠে আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে ছুঁয়ে যায় শ্রোতাদের প্রাণ। যীশু সেনগুপ্ত বললেন, ” সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ যাঁরা এই উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। সব শেষে সবার উঠে দাঁড়িয়ে আমাদের কাজকে সমাদর করা আমার চোখে জল এনে দিয়েছিল। ভবিষ্যতে সময়, সুযোগ হলে বাইশে শ্রাবণ আবার হবে।”
(Feed Source: zeenews.com)