নিয়োগের সময় মহিলাদের বুকের ছাতি মাপার কোনও যুক্তি নেই, অপমানজনক! জানাল হাইকোর্ট

নিয়োগের সময় মহিলাদের বুকের ছাতি মাপার কোনও যুক্তি নেই, অপমানজনক! জানাল হাইকোর্ট

নিয়োগের পরীক্ষার সময় চাকরি প্রার্থী মহিলাদের বুকের ছাতি মাপা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল আদালত। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ মেহতা এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গত ১০ অগস্ট এনিয়ে রায় দেওয়া হয়েছে বলে খবর ল ট্রেন্ডের প্রতিবেদন অনুসারে।

আসলে বনরক্ষী পদের জন্য এই শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি তিনজন। এরপর তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল বুকের ছাতি মাপার পরীক্ষায় তাঁরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এরপরই তাঁদের গোটা প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আদালত তাদের অভিযোগটা যাচাই করার জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।

এরপর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স তিনজন চাকরিপ্রার্থী মেডিক্যাল পরীক্ষা নেয়। সেই রিপোর্টে দেখা যায় তিন জন চাকরিপ্রার্থী মহিলারই বুকের ছাতি কিছুটা এরকম।

বন্দনা কুমার – স্বাভাবিকভাবে ৭৬.৩ সেমি। ফোলানোর পরে ৮০.৩ সেমি

ওম কানোয়ার- স্বাভাবিকভাবে ৭৪.৫ সেমি। ফোলানোর পরে ৭৬.৬ সেমি

মঞ্জু কানোয়ার রাঠোর- স্বাভাবিকভাবে ৮০.৮ সেমি। আর সম্প্রসারণের পরে সেটা হয় ৮২.১ সেমি।

তবে তিনটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় চাকরির ক্ষেত্রে যে যোগ্যতামান লাগে সেটা তাদের নেই। এরপর তাদের রিট পিটিশন বাতিল করা হয়।

কিন্তু এভাবে মহিলাদের বুকের ছাতি মেপে তারপর চাকরিতে যোগদান করানোর বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

আদালত জানিয়েছেন, যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে সেখানে বাগড়া দেবে না আদালত। কিন্তু এভাবে নারীদের বুকের ছাতি মেপে তারপর তাঁদের নিয়োগ করার ঘটনা নিয়ে, আবার ভাবনাচিন্তা করা দরকার। এনিয়ে কিছু রদবদল করা দরকার। সেটা বনরক্ষী নিয়োগ বা অন্য নিয়োগ হোক না কেন। আদালত জানিয়েছে, মহিলার বুকের ছাতির দৈর্ঘ্য কত সেটা তাদের শক্তির পরিচয় হতে পারে না। এটার পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। এটা অপমানজনক। এটা মহিলাদের মর্যাদা রক্ষার পক্ষে যথাযথ নয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে এটা কতটা যথাযথ তা খতিয়ে দেখার ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

(Feed Source: hindustantimes.com)