প্রাক্তনীদের সভা চলাকালীনই রাস্তা অবরোধ, স্লোগান, যাদবপুরে এবিভিপি সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ পুলি

প্রাক্তনীদের সভা চলাকালীনই রাস্তা অবরোধ, স্লোগান, যাদবপুরে এবিভিপি সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ পুলি
কলকাতা: পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে দিনভর উত্তেজনার আঁচ পাওয়া গিয়েছে। সন্ধে গড়াতেও সেই উত্তাপ বজায় রইল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের কাছে অশান্তি বাধল সন্ধেয় (JU Student Death)। সেখানে প্রাক্তনীদের একটি সভা চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় রাস্তা আটকে স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP)। সরাতে গেলে ঝামেলা বাধে পুলিশের সঙ্গে। তাতেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। (Jadavpur University)

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এই ঘটনার নেপথ্যে ব়্যাগিং, মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচারের তত্ত্ব সামনে এসেছে। সেই নিয়ে এদিন সকাল থেকে সেই নিয়ে তেতে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ডেপুটেশন জমা দেওয়া নিয়ে দুপুরে তুলকালাম বাধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে .বচসা বাধে তাঁদের।

এর পর সন্ধেয় সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের একটি প্রতিবাদ সভা ছিল। সেই সময় এবিভিপি সমর্থকরা সেখানে পাল্টা জমায়েত করেন বলে অভিযোগ। মাইকিং করে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। এমনকি রাস্তা অবরোধও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে পুলিশ। এবিভিপি সমর্থকদের হটানোর চেষ্টা করা হয়। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা বাধে।

এবিভিপি সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, তাঁরাও সভা করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ প্রাক্তনীদের সভা চলছে। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গেও ঝামেলা বাধে তাঁদের। পরিস্থিতি যাতে বেগতিক না হয়, সুষ্ঠ ভাবে সব কিছু যাতে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এবিভিপি সমর্থকদের হটানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায়, লাঠিচার্জ করা হয়। তাতে মুহূর্তের মধ্যেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যান এবিভিপি সমর্থকেরা।

যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে বুধবারই রাজভবনে জরুরি বৈঠক বসে। যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের জরুরি বৈঠক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, ডিন অফ সায়েন্স, রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠক করেন আচার্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও রাজ্যপাল রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠক ডাকতে পারেন না বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র। আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই বলে পাল্টা দাবি করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

(Feed Source: abplive.com)