বাংলা সিরিয়াল মানে ‘একজনের তিনবার বিয়ে, আর কূটকচালি..’,মত মমতার! তবু মিস করেন না

বাংলা সিরিয়াল মানে ‘একজনের তিনবার বিয়ে, আর কূটকচালি..’,মত মমতার! তবু মিস করেন না

বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখতে ভোলেন না বাড়ির মা-কাকিমা-জেঠিমারা। এই তালিকায় বাদ নেই রাজ্যের প্রাশাসনিক প্রধানও! হ্যাঁ, গোটা বাংলার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে, সারাদিনের ব্যস্ততা তবুও প্রিয় সিরিয়ালগুলো দেখতে ভোলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থেকে শুরু করে ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ থেকে শুরু করে ‘নিম ফুলের মধু’, বৃহস্পতিবার টেলি অ্যাকাডেমি পুরস্কারের আসরে গড়গড়িয়ে একের পর এক সিরিয়ালের নাম বলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কি নাম বলেই ক্ষান্ত থাকলেন? একেবারেই নয়, সিরিয়ালের বর্তমান ট্র্যাক সম্পর্কেও আপটুডেট মমতা। পর্ণার কেরামতি থেকে সূর্য-দীপার ভুল বোঝাবুঝি কিংবা জগদ্ধাত্রীর মারকাটারি রূপ, সবই ঠোঁটস্থ তাঁর।

মমতার সিরিয়াল প্রেম অবশ্য কারুরই অজানা নয়। এর আগেও একাধিকবার সে কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন সবার প্রিয় দিদি। মমতা জানান, তাঁর বিশ্বাস বাংলার শিল্পীরা একদিন মুম্বই তথা বিশ্বের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করবে। তিনি যোগ করেন, ‘বাংলা মিডিয়াম থেকে ইষ্টি কুটুম সবই দেখি। অনুরাগের ছোঁয়ায় ওই ছোট্ট দুটি মেয়ে কী সুন্দর কথা বলে।’ নীল-তিয়াসার বাংলা মিডিয়ামের বিষয়ভাবনাকে কুর্নিশ জানান মমতা। সঙ্গে একথাও বলেন, সিরিয়াল একদিন মিস করলেই তিনি ভাবতে থাকেন সেদিনের পর্বে কী ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিন না দেখতে পেলে ভাবতে থাকি পরের দিন কী দেখাবে।’ ‘রামপ্রসাদ’ সব্যসাচী চৌধুরীর প্রশংসা ঝরে পড়ল তাঁর গলায়। রসিকতা করতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর একটা জিনিস তো আপনাদের আছেই। একজনের তিনটে বিয়ে হচ্ছে… আরেকটা কূটকচালি থাকবেই। নেগেটিভ রোল। পসেটিভটাকে নেগেটিভ করে দেওয়া, সিরিয়ালটাকে বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। আর কেউ যদি চলে যায় তাকে মেরে দেওয়া। এসব কিন্তু আমি দেখলেই বুঝতে পারি’।

এদিন বাংলা সিরিয়ালের ক্রিয়েটিভ টিমের কাছে বিশেষ আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন,’আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, যেহেতু খারাপ জিনিস লোকে বেশি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে, কোনও অপরাধমূলক দৃশ্য দেখানোর পরে, কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আপনারা একটু দেখান, তাহলে প্রশাসনের জাগরণ হয় এবং আপ্নাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও অনেক কাজ করতে পারি।’

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং টেলি অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির জন্য সারা বছর মুখিয়ে থাকেন বাংলা টেলিভিশনের কলকুশলীরা। ২০১৪ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে এই অনুষ্ঠান। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এবার টেলি অ্যাকাডেমির মঞ্চে সম্মানিত হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। গুড্ডি ও জগদ্ধাত্রী সিরিয়ালের গীতিকার ও সুরকার হিসাবে টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। মজার ছলে বিষয়টি এড়ান তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)