গ্রহণ লেগেছে নাকি, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর এবার নার্সিং ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু

গ্রহণ লেগেছে নাকি, যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর পর এবার নার্সিং ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু

কলকাতা: অনেকেই বলছেন এই বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে শনি লেগেছে। গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমবাংলায় শিক্ষা বিভাগে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আরম্ভ করে শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি এবং যথেচ্ছাচার ঘিরে ধরেছে। আর সেই বিষয়গুলি ধরেই সরকারি শিক্ষাঙ্গন গুলিতে শুরু হয়েছে শিক্ষায় ভঙ্গুর অবস্থা- এই সব কিছুই নিয়ে ভীষণ চিন্তিত রাজ্যের শিক্ষিত ওয়াকিবহাল মহল৷

চির জীবনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাজনীতি আন্দোলনের শীর্ষে ছিল। এবার আরও বেশি আলোকপাত হয়েছিল  সম্প্রতি এক পড়ুয়ার মৃত্যু  ঘিরে।

বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ‘লিটন নার্সিং হোস্টেলে’ এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীর নাম সুতপা কর্মকার। ২০২১ সালে জি এন এম নার্সিংয়ে ভর্তি হয়েছিল সুতপা। বুধবার রাতে রুমমেটের সঙ্গে ঠিকঠাকই আচরণ করেছিল। সকালবেলা যখন হোস্টেলের অন্যান্য নার্সিং পড়ুয়ারা তাদের ডিউটিতে যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। সেই সময় হোস্টেলের দোতলার কমন শৌচালয়ে গিয়ে দেখে, সুতপার দেহ শাওয়ারের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।

হোস্টেলের অন্যান্য সবাই দৌড়ে এসে ওখান থেকে নামিয়ে মেঝেতে শোয়ায়।  পরে হাসপাতালে এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

ঘটনা পৌঁছায় রায়গঞ্জে সুতপার বাড়িতে। তার বাবা মা খবর পেয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে বেশি রাতে পৌঁছায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়,সুতপার পরিবার কিম্বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ,কেউই সুতপার মৃত্যুর বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছে না।  তবে নার্সিং ছাত্রীদের ওপর হাসপাতালে ডিউটির সঙ্গে ,শিক্ষকদের অ্যাসাইনমেন্টের চাপ। সেটা নাকি অত্যধিক। সেই চাপ অনেকে নিতে না পেরে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে সুতপার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মানসিক চাপ কি ছিল? সেটা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয় নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সুতপার বাবা, এই মুহূর্তে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে চাইছে না।  দেহের ময়নাতদন্ত শুক্রবার হবে। একমাত্র মেয়ে সুতপার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা শুনে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে পরিবার। তারা সমস্ত বিষয়ে না জানা পর্যন্ত ,কোনভাবে মুখ খুলতে রাজি নয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

(Feed Source: news18.com)