দশ-দশটি ক্যামেরার প্রত্যেকটিই গেটে…? ব়্যাগিং রুখতে হস্টেলে সিসিটিভি নয় কেন?

দশ-দশটি ক্যামেরার প্রত্যেকটিই গেটে…? ব়্যাগিং রুখতে হস্টেলে সিসিটিভি নয় কেন?

কলকাতা: ব়্যাগিং কি গেটে হয়? ব়্যাগিং রুখতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তের কথা বলছে যাদবপুর কতৃপক্ষ। অথচ সিসিটিভি বসছে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন ক্যাম্পাস এর ৫ টি গেট ও ৫ টি হোস্টেল এর গেটে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তেই উঠছে প্রশ্ন।

হোস্টেলের ভিতরে কেন থাকছে না সিসিটিভি? উঠছে সেই প্রশ্নও। গেটে সিসিটিভি বসালে কি ব়্যাগিং বা যে কোনও ঘটনায় নজরদারি সম্ভব?

সূত্রের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০টিরও বেশি স্পর্শ কাতর অঞ্চল রয়েছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছিল। যার মধ্য হস্টেলের বারান্দা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউন্ডারি একাধিক জায়গা উল্লেখ করা হয়েছিল। এমনকি রেল লাইন সংলগ্ন একাধিক এলাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউন্ডারি রয়েছে। তার পাশেই রয়েছে হস্টেল,অধ্যাপকদের কোয়ার্টার। রেল লাইন সংলগ্ন অঞ্চল সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর, একাধিকবার চুরির ঘটনা ও ঘটেছে। তার পরেও কেন বাদ পড়ল এই এলাকা? উঠছে সেই প্রশ্ন।

আরও একটি প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। প্রযুক্তির পীঠস্থানে প্রযুক্তিতেই আপোস? কারণ যাদবপুরে বসছে নূন্যতম মানের ক্যামেরা। ২১টি সাধারণ মানের ক্যামেরা বসবে বিভিন্ন জায়গায়।মাত্র ৫টি আধুনিক এএনপিআর ক্যামেরা বসবে গেটে। তাও সব গেটে বসছে না এই আধুনিক ক্যামেরা।বুলেট ক্যামেরার বদলে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ‘পিটিজেড’ ক্যামেরা বসানোর কথা প্রস্তাব আকারে দেওয়া হলেও নূন্যতম মানের ক্যামেরা তেই আস্থা যাদবপুরের।

শুধুমাত্র কি নামেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি? উঠছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি জায়গায় বসবে সিসিটিভি যার মধ্যে থেকে বাদ খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। বাদ পড়ছে একাধিক এলাকা।

(Feed Source: news18.com)