ধরাধাম থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, ১২৫ বছর পর হল প্রত্যাবর্তন, প্রকৃতির কোলে ফিরল এই পাখি

ধরাধাম থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, ১২৫ বছর পর হল প্রত্যাবর্তন, প্রকৃতির কোলে ফিরল এই পাখি
নয়াদিল্লি: মাত্র কয়েক দশক বা কয়েক বছর নয়, দীর্ঘ ১২৫ বছর ধরে নিরুদ্দেশ ছিল। সরকারি ভাবেও বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন পর আবারও পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন ঘটল তাকেহি পক্ষীর। নাদুস-নুদুস দেখতে এই পাখি উড়তে পারে না (Wildlife)। সম্প্রতি নিউজিল্য়ান্ডের দক্ষিণে পাহাড়-পর্বতে ঘেরা একটি দ্বীপের জঙ্গলে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৮টি তাকাহে পাখি ছাড়া হয়েছে। লক্ষ্য একটাই, পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি করা। (Bird Takahe)

পাখি সংরক্ষণে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিগত ১২৫ বছর ধরে ওই তাকেহি পাখির দেখা ছিল না। অতি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডেরই দক্ষিণের লেক ওয়াটিপু উপত্যকায় নতুন করে তাদের দেখা মেলে। তার পরই তৎপর হয়ে ওঠে স্থানীয় প্রশাসন। পাখিদের ডিম একত্রিত করার কাজ শুরু হয়। এর পর জন্ম নেয় শাবকরা। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণে রেখে লালনপালন করা হয় সেগুলিকে। তার পর একে একে জঙ্গলে ছাড়া শুরু হয়।

এই তাকেহি পাখি উড়তে পারে না। আকার হয় ৫০ সেন্টিমিটারের মতো। চঞ্চু হয় তীক্ষ্ণ এবং মজবুত। ছোট ছোট পা। পালকের রং উজ্জ্বল নীল, সঙ্গে সবুজের মিশেল। ওজন সর্বাধিক তিন কেজি। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই নিউজিল্যান্ডের বাস্তুতন্ত্রের অংশ এই তাকেহি পাখি। কিন্তু ১২৫ বছর আগে তাদের বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেওয়া হয়। কারণ সেই সময় জীবাশ্ম ছাড়া পাখিগুলির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি খুঁজে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বছরে একবারই বংশবিস্তার করে তাকেহি পাখি। একটি বা দু’টি সন্তানকেই লালন পালন করে বড় করে তোলে। তাকেহি পাখির জীবনকাল হয় সর্বাধিক ১৮ বছর। অভয়ারণ্যে নজরদারিতে রাখা গেলে, ২২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। গাছের পাতা, শস্যদানা খেয়েই মূলত জীবনধারণ ধরে এই পাখিরা। তাকেহিদের প্রত্যাবর্তনে খুশি সে দেশের পরিবেশবিদরা। আবার সতর্কও করছেন অনেকে।

কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, তাকেহিদের ফিরিয়ে আনতে কম পরিশ্রম করতে হয়নি। তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য হলেও, সাবধানে এগনো প্রয়োজন। কারণ প্রত্যাবর্তন ঘটলেও, আবারও যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে না, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। তাকেহির সংখ্যাবৃদ্ধিতে জোর দিলেও, তা যে সফল হবে, সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না বলেও মত তাঁদের। বরং নতুন জায়গার খোঁজ চালানো জরুরি, যেখানে নিরাপদে রাখা যেতে পারে পাখিগুলিকে, ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখা যেতে পারে।

(Feed Source: abplive.com)