আকাশে গনগনে রোদ। মাঝেমধ্য়েই বৃষ্টিও হচ্ছে ! এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির ভয়ে কুমোর পাড়ার সাবধানী মৃৎশিল্পীরা প্লাস্টিকের আড়ালে দিনরাত এক করে খেটে চলেছেন। সেখানে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। ইংরেজি বছর পড়তেই বিদেশে প্রতিমা (Durga Puja) যাওয়া শুরু হয়েছিল। এখন তা প্রায় শেষের পথে। দেশের পাশাপাশি, বিদেশেও এবার থিমের প্রতিমার চাহিদা।
কুমোরপাড়ায় এখন পুজো কর্তাদের আনাগোনা লেগেই আছে। কেউ আসছেন বায়না দিতে। কেউ আবার প্রতিমা তৈরির কাজ কতটা এগোলো তা দেখতে। থিমের লুকোচুরি এখনও অব্যাহত। টিজার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। সবাই তাল ঠুকছেন। এবারও তাক লাগিয়ে দেবার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। লুকিয়ে মেপে নিতে চাইছেন পাশের পাড়ার কাজ কতটা এগোল।
হালে পাড়ায় পাড়ায় খুঁটি পুজোর ফ্যাশন শুরু হয়েছে। যে কোনও একটা ছুটির ছুতোয় কয়েকটা ঢাক বাজিয়ে খুঁটিতে মালা পরিয়ে, সবাই মিলে সেজেগুজে ছবি তোলা, আর খাওয়া। যাঁরা একটু লেখালিখি করেন তাঁদের কাছেও অর্ডার পোঁছে গেছে- ‘এবারে কিন্তু ছোট গল্প নয় উপন্যাস চাই’ বা ‘আমাদের একটা কবিতা দিতেই হবে’ গোছের নানা আবদার। ওদিকে প্রেস থেকে তাগাদা আসছে প্রুফ ছাড়তে হবে।
গায়কদের আর পুজোর অ্যালবাম করতে হয় না। কারণ বিক্রি নেই। এখন সিঙ্গলস্ এর যুগ। ইতিমধ্যেই অনেকের পুজোর অনুষ্ঠানের বুকিং হয়ে গেছে। যাঁরা বিদেশে বা ভিন্ রাজ্যে ডাক পেলেন তাঁরা মুখ ব্যাজার করে বলেন, এখানে তো পুজো দেখাই হয় না। বাকিরা রাজ্যের নানা প্রান্ত চষে ফেলবেন পুজোয় একটু বাড়তি রোজগারের আশায়।
শুরু হয়ে গেছে কাউন্টডাউন। আগমনীর আগমনের অপেক্ষা।
(Feed Source: abplive.com)