এদিন মিতালী রায় বললেন, ‘শেষ হাসি আমরাই হাসব, বিজেপি হাসবে, মোদিজি হাসবেন, পদ্মফুলও হাসবে।’বিজেপি বিধায়ক মিতালি রায় বলেন, ‘একটা চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। যেহেতু এটা উপনির্বাচন, মানুষ সিদ্ধান্ত নেয়, যেহেতু এটাতে কিছু হবে না, তো গভমেন্টের পক্ষে যায় ! সেখানে বিজেপির যে চ্যালেঞ্জটা রয়েছে, সেটাই তো বড় কথা। তবে এনিয়ে কোনও টেনশন করছেন না বলেই জানালেন তিনি। মাঠে যখন নেমেছি, মাঠ ছাড়া হবে না।’
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। উপনির্বাচনের গণনায় পরতে পরতে পট পরিবর্তন। পরিসংখ্যান বলছে, ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে অনেকটা এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে বিজেপি প্রার্থীর থেকে ৩ হাজার ৭৭৩ ভোটে এগিয়ে নির্মলচন্দ্র রায়। তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৬২ হাজার ৬০২ বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৮ হাজার ৮২৯। কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী পেয়েছেন ৮ হাজার ২২৯ ভোট। এবং সপ্তম রাউন্ড শেষে ব্যবধান কমলেও এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী। সপ্তম রাউন্ড শেষে বিজেপি প্রার্থীর থেকে ২ হাজার ৯৩১ ভোটে এগিয়ে নির্মলচন্দ্র রায়। তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৭২ হাজার ৪৪০। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৬৯ হাজার ৫০৯। কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী পেয়েছেন ১০ হাজার ৬২ ভোট।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী রায় জয়ী হয়েছিলেন তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৭৮১। পরবর্তীতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। ১,০৩,৫৩৩ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপির প্রার্থী বিষ্ণুপদ বায়। মিতালী রায় ২০২১ সালে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আড়াই বছর দল তার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি বলে দাবি করেন মিতালী রায়। এমন কি কোনও মিটিং মিছিলেও তাঁকে ডাকা হয়নি বলে দাবি তাঁর।যেখানে ধুপগুড়ি উপনির্বাচনে মাটি আঁকড়ে বসে আছেন শাসকদলের রাজ্য নের্তৃত্ব থেকে বিরোধীদলের হেবিওয়েট নেতারা, সেখানে তৃণমূলের প্রচারে এবারেও দেখা যায়নি মিতালী রায়কে। তবে অবশেষে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আশ্বাসের পর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল মিতালী রায়কে। তারপরেই ছন্দপতন। দল বদলান তিনি। বিজেপিতে যোগ দেন মিতালি রায়।
(Feed Source: abplive.com)