মেনুতে মাছ-মাংস বাদ! ক্যাফেতে হুড়মুড়িয়ে কী খায়? এই রেসিপিতেই মালামাল ব্যবসায়ী

মেনুতে মাছ-মাংস বাদ! ক্যাফেতে হুড়মুড়িয়ে কী খায়? এই রেসিপিতেই মালামাল ব্যবসায়ী

কোচবিহার: কোচবিহারে এতদিন পর্যন্ত মাশরুমের কোনও খাবারের দোকান ছিল না। তবে বর্তমান সময়ে কোচবিহারের ১৭ নং জাতীয় সড়কের ধরে রাজারহাট এলাকায় শুরু হয়েছে একটি দোকান। মূলত মাশরুমের রকমারি সমস্ত খাবার পাওয়া যাচ্ছে। দোকানের নাম রাখা হয়েছে মাশরুম ক্যাফে। প্রতিদিন বিকেলে ৬-৬:৩০টার মধ্যে এই ক্যাফে খুলে যায়। সাড়ে ৯’টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকান।

তবে এখানে শুধুমাত্র মাশরুমের বিভিন্ন খাওয়ার জিনিস নয়, মাশরুম ও কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মাশরুম চাষের জন্য ব্যবহৃত জিনিস ও বিক্রি করা হচ্ছে এখানে। সব মিলিয়ে কোচবিহারের মানুষের জন্য একেবারেই নতুন এই বিষয়টি।

মাশরুম ক্যাফের কর্ণধার বিপ্রজ্যোতি ভৌমিক জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারে নানা ধরনের মাশরুমের চাষ হচ্ছে। তবে কোচবিহারের মানুষে এখনও পর্যন্ত কোচবিহারে উৎপাদিত মাশরুম খাওয়ার মতো কোনও জায়গা পাননি। মূলত সেই ভাবনা থেকেই দোকানের চিন্তাভাবনা শুরু। তবে এই চিন্তা রূপায়ণ করতে বেশ অনেকটা সময় লেগেছে। বর্তমান এই ক্যাফে কোচবিহারের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কোচবিহারবাসী এখানে মাশরুমের স্বাদ নিতে পারবেন স্বল্প মূল্যে। এখানের মাশরুমের পকোড়া, মাশরুমের বড়া, মাশরুমের ফ্রাইয়ের সঙ্গে মুড়ি, মাশরুমের স্যান্ডুইচও পাবেন।”

সন্ধ্যে নামলেই বহু মানুষ ভিড় জমান ফাস্ট ফুডের দোকানের মধ্যে। তবে ফাস্ট ফুডের চাইতে কয়েকগুণ বেশি প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারি উপাদান রয়েছে এই মাশরুমের মধ্যে। তাই স্বল্প মুখ্য ফাস্ট ফুডের মজা ও মাশরুমের উপকারিতা পেতে চাইলে একবার ঘুরে আসতেই পারেন। তবে এলাকার পরিবেশ ও ক্যাফেটিও বেশ সুন্দর সাজানো। মূল রাস্তার ধারে এত সুন্দর একটি ক্যাফে সত্যিই সকলকে আকর্ষণ করছে।

মাশরুমের ক্যাফেতে খেতে এসেছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি জানান, “কোচবিহারের মধ্যে এই প্রথম মাশরুমের নানা আইটেম নিয়ে এই ক্যাফে খুলেছে। সকলেই খাবার পছন্দ করছে, নিঃসন্দেহে। খাবারের মানও ভাল। মাশরুমের নানা পদের পাশাপাশি এখানে কাঁচা মাশরুমও কিনতে পাওয়া যায়।”

(Feed Source: news18.com)