এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তান দল অপরিবর্তিত থাকলেও, ভারতীয় একাদশে দুই বদল ঘটানো হয়। ছেলের জন্মের জন্য নেপালের বিরুদ্ধে না খেললেও, এই ম্যাচে একাদশে ফেরেন যশপ্রীত বুমরা। ম্যাচ শুরুর আগেই শ্রেয়স আইয়ার পিঠে চোট পাওয়ায় একাদশে ফেরেন রাহুল।
ব্যাট হাতে ভারতের হয়ে ইনিংসের শুরুটা দুরন্তভাবে করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন। ওপেনিংয়েই শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। নতুন বলে শাহিন আফ্রিদি জুজু কাটিয়ে দুরন্ত কয়েকটি শট খেলেন শুভমন গিল। শাদাব খান বল করতে আসলে হাত খোলা শুরু করেন রোহিতও। গিল ও রোহিত দুইজনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। তবে পরপর ওভারে রোহিতকে প্রথমে ৫৬ রানে ফেরান শাদাব। পরের ওভারেই গিলকে ৫৮ রানে আউট করেন শাহিন।
এরপর ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়ে কোহলি ও রাহুলের কাঁধে। তবে ২৪.১ ওভার শেষে আর বৃষ্টির জন্য খেলা স্থগিত হয়ে যায়। ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। আজও বৃষ্টির জেরে নির্ধারিত সময়ের পরেই খেলা শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই রাহুল ও বিরাটকে দারুণ ছন্দে দেখায়। হ্যারিস রউফের হালকা চোট থাকায় তাঁকে এই ম্যাচে আর বোলিং না করানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান, যা ভারতের জন্য বেশ লাভদায়কই হয়।
দেখতে দেখতেই নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ১০০ বলে কেরিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ান ডে শতরান হাঁকিয়ে ফেলেন রাহুল। অপরদিকে, কোহলির শতরান আসে মাত্র ৮৪ বলে। তৃতীয় উইকেটে রাহুল ও কোহলি মিলেই ভারতকে ৩৫০ রানের গণ্ডি পার করান। দুইজনে মিলে ২৩৩ রান যোগ করান, যা এশিয়া কাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। শেষমেশ কোহলি ১২২ ও রাহুল ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
(Feed Source: abplive.com)