আদালতের বাইরে যাদবপুরে পড়ুযা মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতকে কলার ধরে মার, উত্তেজনা

আদালতের বাইরে যাদবপুরে পড়ুযা মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতকে কলার ধরে মার, উত্তেজনা

কলকাতা: আলিপুরে পকসো আদালতের সামনে  যাদবপুরের ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে কলার টেনে মারধর করলেন এক আইনজীবী। যাদবপুরে হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া খুনে ধৃতদের মোট ১২ জনকে আলিপুর  পকসো আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তদের দেখে আইনজীবি রমা দাস কলার টেনে ধরে মারতে থাকেন। ক্ষোভ উগরে দেন। ওই আইনজীবীর দাবী, প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুতে প্রতিবাদ স্বরূপ ওই ধৃতকে কলার টেনে ধরা হয়।

আইনজীবী রমা দাস জানান, ‘‘যাদবপুরের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য ওই ধৃতকে কলার টেনে মার দেওয়া উচিত ছিল।’’ কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ঘেরা টোপের নিরাপত্তার মধ্যেই মারধর অভিযুক্তকে কী ভাবে মারধর করলেন ওই আইনজীবি? উঠছে প্রশ্ন। সোমবার যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত মোট ১২ জনকে আলিপুরের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। তখনই পুলিশের ভ্যান থেকে ধৃতদের নামানোর সময় এক অভিযুক্তকে কলার টেনে মারে এক আইনজীবী।

কিছু দিন আগেই যাদবপুরে হোস্টেলে নিচে এক প্রথম বর্ষের ছাত্র দেহ মেলে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। পরবর্তীকাকে পকসো আইনে মামলা হয়। প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ঘটনায় অপরাধীর অপরাধ ঢাকতে যে হোয়াটস্যাপ গ্রুপ  ব্যবহার হয়েছিল, তার নাম  দেওয়া হয়েছিল জেইউ এমএইচ৷ অর্থাৎ যাদবপুর ইউনিভার্সিটি মেন হোস্টেল। যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুর পরে জিবি করা হয়, এর পরই ঘটনার পরে গ্রুপ ডিলিট করা হয়। এই  হোয়াটস্যাপ গ্রুপটিতে ছিলেন প্রায়  কমপক্ষে ২০ জন। জিবির পরে হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ডিলিট করা হয়। পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে বা যে পড়ুয়ারা রয়েছে কারও ফোনে আর হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছিল না।

(Feed Source: news18.com)