এই ম্যাচের আগও অবধি চলতি এশিয়া কাপে কোহলি তেমন রানই পাচ্ছিলেন না। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবেই এই এশিয়া কাপকে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই টুর্নামেন্টের কোহলির রানে না থাকাটা সমর্থকদের উদ্বেগ খানিকটা বাড়াচ্ছিলই। তবে চোখধাঁধানো শতরানে সকলকে ভরসা জোগালেন কোহলি। মাত্র ৮৪ বলে হাঁকালেন কেরিয়ারের ৪৭তম ওয়ান ডে শতরান। আর বিরাটের রান করা মানেই রেকর্ডের ফুলঝুরি। এই ম্যাচেও তাই হল। একগুচ্ছ রেকর্ড গড়ে ফেললেন কোহলি।
১৩ হাজার ওয়ান ডে রানের গণ্ডি পার করার জন্য কোহলির ৯৮ রানের প্রয়োজন ছিল। তিনি শতরান হাঁকিয়েই দ্রুততম ব্য়াটার হিসাবে ওয়ান ডেতে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করলেন। সচিন ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। কোহলি ২৬৭ ইনিংসে সেই গণ্ডি পার করে দ্রুততম ব্য়াটার হিসাবে এই রেকর্ড নিজের নামে করে ফেললেন। এর পাশাপাশি ৫০-এর রান করার রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ডেও ভাগ বসালেন কোহলি। তিনি সচিনের সর্বাধিক ৪৯টি ওয়ান ডে শতরানের রেকর্ড থেকে আর মাত্র দুই ধাপ পিছনে।
অন্যদিকে, কলম্বোর প্রেমাদাসাতে নিজের শেষ তিন ওয়ান ডে ম্যাচে তিনটি শতরান হাঁকিয়েছিলেন কোহলি। চতুর্থ ম্যাচেও নিজের সেই শতরানের ধারা অব্যাহত রাখলেন ‘কিংগ।’ হাশিম আমলার পর মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসাবে এক মাঠে টানা চার ম্যাচে শতরান করে ফেললেন কোহলি। আমলার চার সেঞ্চুরি এসেছিলেন সেঞ্চুরিয়ানে, কোহলি শতরান হাঁকালেন শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে।
কোহলির পাশাপাশি কেএল রাহুলও এই দিন নিজের প্রত্যাবর্তন ম্যাচে এক চোখধাঁধানো শতরান হাঁকান। দীর্ঘদিন তিনি চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। করাতে হয়েছিল অস্ত্রোপ্রচারও। তবে সেইসব দুঃস্বপ্নের দিন পিছনে ফেলে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন ভারতের তারকা ব্যাটার-কিপার। ১০০ বলে শতরান সম্পূর্ণ করলেন রাহুল। এটি তাঁর কেরিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ান ডে শতরান।
(Feed Source: abplive.com)