আর কী…
এই নিয়ে একটি ট্যুইট করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। তাতে লেখা, ‘পাইলট ও মহাকাশচারী হিসেবে মহিলারা সফল। তার পরও তাঁদের মন্দিরে পূজারী হতে বাধা রয়েছে। কারণ তাঁদের অশুচি মনে করা হয়, এমনকি দেবী-মন্দিরেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু এবার পরিবর্তনের সময়। আমাদের #DravidianModel Government জাতপাত নির্বিশেষে এবং মহিলাদের গর্ভগৃহে নিয়োগের ব্যবস্থা করে তনতাই পেরিয়ারের হৃদয় থেকে কাঁটা সরিয়ে দিয়েছে।’
‘পূজারিণী’ সম্পর্কে…
সূত্রের খবর, এস রাম্যা কাড্ডালোর থেকে এমএস.সি করেছেন। কৃষ্ণবেণী আবার স্নাতকে গণিত নিয়ে পড়াশোনা করছেন। আর, রঞ্জিতা বিএস.সি পাশ করেছেন। কিন্তু লেখাপড়ার জগৎ থেকে পৌরোহিত্য কেন?কৃষ্ণবেণী জানিয়েছেন, তিনি ঈশ্বরসেবা ও মানুষের কাজে লাগতে চান। তাই জেনেশুনেই সরকারের এই ট্রেনিংয়ে নাম লেখান। রঞ্জিতা একরাশ কৌতূহল নিয়ে এসেছিলেন এই কোর্সে। তবে রাম্যা স্বীকার করছেন, ট্রেনিংয়ের প্রথম দিকে তাঁর বেশ অসুবিধা হত। কিন্তু কৃষ্ণবেণীর আত্মীয় হওয়ার সুবাদে দু’জনের পরিবারই এই কোর্স করতে উৎসাহ দিয়েছিল। এক বছরের কোর্সে সরকারের তরফে মাসে ৩ হাজার টাকা স্টাইপেন্ড-ও পেতেন ওঁরা। সেই ট্রেনিং শেষ। এবার সহকারী হিসেবে মন্দিরে কাজ শুরুর পালা।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জেনেবুঝেই এই সময়ে ঘোষণাটি করেছেন। স্ট্যালিন-পুত্রের ‘সনাতন-ধর্ম’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ডিএমকে। I.N.D.I.A.-র সদস্য দলগুলির অনেকেই উদয়নিধি স্ট্যালিনের সেই মন্তব্যের থেকে দূরত্ব স্পষ্ট করেছেন। এই অবস্থায় মহিলা পূজারীদের বিষয়টি সামনে এনে ধর্মের প্রশ্নে উদারতার বার্তা দিতে চাইলেন ডিএমকে প্রধান, এমনই ব্যাখ্যা অনেকের।
(Feed Source: abplive.com)