অধিবেশনের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ( Narendra Modi ) চন্দ্রযান ( Chandrayaan 3 ) ও G-20 র সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে শুধু ভারত নয় সারা বিশ্ব অভিভূত। জি ২০-র সাফল্য ১৪০ কোটি দেশবাসীর। এই সাফল্য কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়, ভারতের সাফল্য। দেশের বিবিধতা এই সম্মলনের মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বে পৌঁছে গেছে’
সংসদ ভবনে প্রবেশের আগেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আগামী মঙ্গলবার গণেশ চতুর্থীর দিনই নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন সাংসদেরা। ‘বিঘ্ননাশক’ গণেশের কৃপায় সব বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে ভারত সব স্বপ্ন এবং সঙ্কল্প পূরণ করবে, বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের সংসদীয় যাত্রা স্মরণ করতেই এই বিশেষ অধিবেশন। এই সংসদ ভবন ৭৫ বছরের যাত্রায় নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। আমরা নতুন সংসদ ভবনে গেলেও পুরনো এই ভবন যুব সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত। এই ভবন তৈরিতে দেশের মানুষের পরিশ্রম, অর্থ রয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের প্রতি সন্দেহ করার স্বভাব কিছু মানুষের স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসছে। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ভারত জবাব দিয়ে দিয়েছে। আজ ভারত বিশ্ববন্ধু হিসেবে নিজের জায়গা তৈরি করেছে। বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত আমাদের সংস্কারই তার আধার। এই সংসদ ভবনের গৌরব আমাদের সবার’
সোমবার থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংসদদের অধিবেশনে হাজির থাকতে হুইপ জারি করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের ৭৫ বছরের যাত্রাপথ নিয়ে আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে বিরোধীরা দাবি জানিয়েছেন, বিশেষ অধিবেশনেই পাস করা হোক মহিলা সংরক্ষণ বিল। রাজ্যের বকেয়া পাওনা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা চেয়েছে তৃণমূল। ইন্ডিয়া, না ভারত, এক দেশ, এক ভোটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কি সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদি সরকার? সকলের নজর এখন সেদিকেই।
(Feed Source: abplive.com)