এমনকী বিচারপতি এও বলেন, ‘আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে’। জেলবন্দি প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে জেরা না করায় তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির।
নির্দেশের পরেও জেলবন্দি মানিককে জেরা না করায় সিবিআইকে তিরস্কার বিচারপতির। তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বুদ্ধি দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরাই’।
তবে সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, সহযোগিতা করছেন না মানিক। যদিও এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল, এখন ২০২৩ সাল। একবছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পত্র দাখিল করেননি ? প্রশ্ন বিচারপতির।
উল্লেখ্য় টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি বিলির পর, সামনে এসেছে, প্রাথমিক স্কুলে পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগও ! সেই মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ম্য়ারাথন জেরা করে সিবিআই (CBI)।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড, হাইকোর্টের এজলাসে চালিয়ে দেখার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
(Feed Source: abplive.com)