ওট্টাওয়াতে সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার ফের ভারতের দিকে আঙুল তুলেছেন ট্রুডো। তাঁর বক্তব্য, “ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের যে বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, তা সোমবার নয়, অনেক সপ্তাহ আগেই জানানো হয়েছিল। ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই কাজ করতে চাই আমরা। আমাদের আশা, ভারতের তরফে ইতিবাচক সাড়া মিলবে এবং এই গুরুতর অভিযোগের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে পারব আমরা।” এ নিয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি দিল্লি।
খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের হাত রয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেন ট্রুডো। দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জানান, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার এজেন্টরা কানাডার মাটিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। কানাডার সার্বভৌমিকতা নষ্ট হচ্ছে তাতে, লঙ্ঘিত হচ্ছে নিরাপত্তা। যদিও ভারতের দাবি, কানাডাই ভারতবিরোধী কার্যকলাপে মদত জোগাচ্ছে। নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাকামীদের।
দুই দেশের মধ্যেকার এই সংঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ খোলাখুলিই তা জানিয়েছে। কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা। তদন্তে ভারতের সহযোগিতা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন দেশের আধিকারিকরা।
আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “এখানে দায়বদ্ধ আচরণ আশা করছি আমি। তদন্ত সঠিক পথে এগনো উচিত এবং সত্য সামনে আসা উচিত। আশা করি, আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। আন্তর্জাতিক অবদমনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির শৃঙ্খল ধরে রাখতেই কোনও দেশের এমন কার্যে লিপ্ত হওয়া কাম্য নয়।”
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, “কানাডার সহকর্মীদের সঙ্গে কথআ বলছি আমরা। শুধুমাত্র শলা-পরামর্শ না, বিষয়টিতে ওঁদের সহযোগিতা করছি আমরা। এ ব্যাপারে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।” এর আগে, হোয়াইট হাউসের তরফেও বিবৃতি দিয়ে তদন্তে ভারতের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্লিঙ্কেনের মতো শীর্ষ আধিকারিক মুখ খোলায়, আমেরিকার এই অবস্থানকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন কূটনীতিকরা।
(Feed Source: abplive.com)