নিম্নচাপের নজর এখন বাংলাদেশে। তাই মন খারাপের মেঘ সরিয়ে বাংলার আকাশ আবার রোদ ঝলমলে। গুটি গুটি পায়ে এবারের মতো দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে বর্ষাও। প্রশ্ন একটাই, বাংলা থেকে বর্ষা পাকাপাকিভাবে কবে বিদায় নেবে ? কারণ, নিম্নচাপকে দোসর বানিয়ে বিদায়-বেলায় মারকাটারি ইংনিস খেলায় জলে ভাসছে একাধিক জেলা।
এই যেমন হুগলির (Hooghly) খানাকুল (Khanakul)। মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল নতুন করে না বাড়লেও, রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জল ঢুকেছে খানাকুলের ১ ও ২ নম্বর ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। জলমগ্ন চাষের জমি। নীচু এলাকায় ডুবে গিয়েছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট। এমনকী, পানীয় জলের কলও জলের তলায়। নেমেছে নৌকা। জল বাড়তেই বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় স্কুলে। জমা জলে ফসল নষ্ট হওয়ায় সংসার কীভাবে চলবে ভেবেই পাচ্ছেন না কৃষকরা।
খানাকুলের বাসিন্দা রবীন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “আমাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেকেই হয়েছে। ধান ছিল সব ডুবে গেছে। আর সে ধান তো ফিরে পাওয়া যাবে না। খানাকুলে এত বন্যা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। ধান পুরো নষ্ট হয়ে গেছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের (Ghatal) অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রাম থেকে শহর, জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ। জল থইথই ঘাটাল থানা চত্বর। পূর্ত দফতরের তরফে নামানো হয়েছে নৌকা। ঘাটাল পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিই প্লাবিত। ঘাটাল ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জলমগ্ন। বন্যার কবলে ঘাটাল মহকুমার লক্ষাধিক মানুষ।
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “শহরের জল অনেকটাই বেড়েছে। থানার সামনে জল জমে গেছে। ঘাটাল ময়রাপুকুর চকে নৌকা চলছে। ঘাটাল শহরের বিভিন্ন জায়গায় নৌকা চলছে। ঘাটাল ব্লকেরও বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন।”
বৃষ্টি কমায়, শিলাবতী, কেঠিয়া, ঝুমি নদীতে জলস্তর নামছে। দুর্যোগ কাটলেও, দুর্ভোগের শেষ কবে, ভাবছেন ঘাটালের মানুষ।
এর মধ্যেই আশার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা।
(Feed Source: abplive.com)