স্কুল পাঠ্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি, AI, 3D প্রিন্টিং, রোবোটিস যুক্ত করতে বলল সরকার

স্কুল পাঠ্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি, AI, 3D প্রিন্টিং, রোবোটিস যুক্ত করতে বলল সরকার

স্কুল শিক্ষায় আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। সম্প্রতি দেশের সিবিএসই স্কুলগুলিকে এই নিয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে বলা হয়েছে ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টিং, রোবোটিকস এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলজেন্সের মতো কোর্সগুলিকে যাতে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের বাজেটেই প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০ চালু করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কিল হাব ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যতে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে, তার জন্যেই কৌশল বিকাশ যোজনার চতুর্থ সংস্করণ চালু করেছে সরকার। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৩.০-র অধীনে দেশের সব সিবিএসই স্কুলকেই ‘স্কিল হাব’ খোলার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল।

২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনেই এই কৌশল বিকাশ যোজনার সূচনা করা হয়েছে। স্কুল স্তরেই পড়ুয়াদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোই এর মূল লক্ষ্য। স্কুলের পাঠ্যক্রমেই ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ যুক্ত করতে সচেষ্ট হয় সরকার। পরবর্তীতে এই ভোকেশনাল শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত দক্ষতা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের সাহায্য করবে বলে মত সরকারের। পাশাপাশি এতে দেশের অর্থনীতিও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগ্রহী পড়ুয়ারা সিবিএসই-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে এই বিষয় আরও বিশদে জানতে পারবেন।

এই আবহে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০-র অধীনে আধুনিক বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আজ সারা বিশ্বেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ চলছে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা যায়, আমেরিকায় বসে ১৬ বছর বয়সি এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী ১০০ কোটি ডলার মূল্যের একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি দাঁড় করিয়েছেন মাত্র ১০ মাসে। এই আবহে স্কুলের পাঠ্যক্রমে রোবোটিকস, আর্টিফিশায়ল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ড্রোন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে সরকার।

কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০-র আওতায় যে সকল পড়ুয়া প্রশিক্ষণ নেবেন, মাথা পিছু তাদের জন্য সরকার ব্যয় করবে ৬৯২৩ টাকা করে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকেই কৌশল যোজনা কার্যকর করে এসেছে কেন্দ্রীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়। শিল্প প্রস্তুত কর্মশক্তি তৈরির কথা মাথায় রেখেই এই যোজনা কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে পড়ুয়াদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও নজর দেওয়া হয়েছে। স্কুলছুট ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদেরও এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)