৮১ বছরে পা দিল হাজরা পার্ক! কেমন হয়েছে এবারের থিম ‘তিন চাকার গল্প’?

৮১ বছরে পা দিল হাজরা পার্ক! কেমন হয়েছে এবারের থিম ‘তিন চাকার গল্প’?

নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে দর্শকদের  প্রতি বছরই অবাক করে  হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব। ‘তিন চাকার গল্প’  নিয়ে হাজির হয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো। হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব এই বছর ৮১ বছরে পা দিল, এ বছর তারা একটি অটোরিকশার চালকের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিশেষ থিম নিয়ে এসেছে। যার নাম- “তিন চাকর গল্প”। পুজোটির উদ্বোধন করেন ফিরহাদ ববি হাকিম।

কলকাতা আনন্দের শহর, যা অতীতে কিছুটা সহজ-সরল ছিল। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বদলে যাচ্ছে এই তিলত্তমা। অটোরিকশা চালকরা পিতা, স্বামী বা পুত্র হিসাবে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি নিজেদের পেশাগত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করছে এই তিন চাকার একটি অটোরিকশা চালক হিসেবে।  দিনরাত পরিশ্রম করে খুব অল্প পরিমাণ উপার্জন করলেও তারা জানে কীভাবে তাদের পরিবারকে নিজের যা কিছু আছে তা দিয়ে খুশি রাখতে হয়। প্রতি রাতে, ছেঁড়া কম্বলে ঘুমানোর সময় কোনও দিন লাখ টাকা উপার্জনের স্বপ্ন থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে না।

এ প্রসঙ্গে পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্রী সায়ন দেব চ্যাটার্জি জানান, “প্যান্ডেলটিতে চারপাশে ঘরবাড়ি সহ অটোর যন্ত্রাংশ ইত্যাদি দ্বারা বেষ্টিত অটো স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে অটো চালকরা কীভাবে একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।যদিও তাদের প্রতিদিনের উপার্জন সামান্য, তবুও তারা তাদের পরিবারকে সুখী রাখার চেষ্টা করে এবং তাদের সন্তানদের সুশিক্ষার জন্য যা যা করতে পারে তা ব্যয় করে।

১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র সি আর দাস এবং সিইও সুভাষ চন্দ্র বসুর নির্দেশনায় কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সহায়তায় এই পুজো শুরু হয়েছিল। এর আগে, এই পুজো ভবানীপুরে অনুষ্ঠিত হত যা ১৯৪৫ সালে হাজরা পার্কে স্থানান্তরিত হয়েছিল। অনগ্রসর শ্রেণীর লোকেরা পুজোয়  অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারত, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

আজও, ঐতিহ্য হিসেবে, প্রায় ১০০০ হরিজন উপবিষ্ট এবং ব্যক্তিগতভাবে কমিটির সদস্যদের দ্বারা ভোগ ও প্রসাদ পরিবেশন করা হয়। এই পুজো সমাজের সেই সব মানুষদের সম্মানের প্রতীক যারা বছরের পর বছর ধরে শহরটিকে পরিষ্কার রেখেছে। পাশাপাশি একটি শক্তিশালী বার্তা,  একজনের জন্ম যে পরিবার বা বংশেই হোক না কেন, প্রতিটি মানুষকে  সমানভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাদের সাথে একই আচরণ করা উচিত।

(Feed Source: hindustantimes.com)