‘জায়ান্ট কিলার’ আফগানিস্তান,এবার তাদের শিকার পাকিস্তান,হারের হ্যাটট্রিক বাবরদের

‘জায়ান্ট কিলার’ আফগানিস্তান,এবার তাদের শিকার পাকিস্তান,হারের হ্যাটট্রিক বাবরদের

চেন্নাই: ইংল্যান্ডকে হারানো কোনও অঘটন ছিল না। বিশ্বকাপের মঞ্চে ফের নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করল আফগানিস্তান। এবার চমক দিয়ে আফগানিস্তান ৮ উইকেটে হারাল প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানকে। ওডিআই ক্রিকেটে নয়া ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। অপরদিকে, ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর বিশ্বকাপে একের পর এক ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে বাবর আজমের দল। পরপর তিন ম্যাচ হেরে হারের হ্যাটট্রিক করল পাকিস্তান।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান যখনও ২২ গজে মুখোমুখি হয়েছে একাধিক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। যার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়ের হাসি হেসেছিল পাকিস্তান। কিন্তু কথায় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে সেই সকল হারের জ্বালা মেটানোর পাশাপাশি বদলা নিল আফগানরা। একইসঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বকে আফগানিস্তানের বার্তা তাদের যেন কেউ ছোট দল ভাবার ভুল না করে।

ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দলগত প্রয়াসেই ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন বাবরব আজম। এছাড়া ৫৮ রান করেন আবদুল্লাহ শফিক। শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করে ৪০ রান শাদাব খান ও ইফতিকর আহমেদ। মাঝে সউদ শাকিল করেন ২৫ রান।

মাঝের দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট না পড়লে আরও বড় ্স্কোর করতে পারত পাকিস্তান। আফগানিস্কানের হয়ে এদিন ভাল বোলিং করেন নুর আহমেদ ও নবীন উল হক। ৩টি উইকেট শিকার করেন নুর ও ২টি উইকেট নেন নবীন। এছাড়া ১ টি করে উইকেট নেন মহম্মদ নবি ও আজমাতুল্লাহ ওমারজাই। রাশিদ খান আঁটোসাঁটো বোলিং করলেও উইকেট পাননি।

রান তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করেন। প্রয়োজন মত আক্রমণাত্মক শটও খেলেন দুজন। শতরানের পার্টনারশিপ করেন গুরবাজ ও জাদরান। নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। ১৩০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে প্রথম উইকেট। ৬৫ রান করে আউট হব গুরবাজ। এরপর রহমত শাহ ও ইব্রাহিম জাদরান স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন তারাও। ১৯০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আফগানদের। ৮৭ রান করে আউট হন জাদরান।

২ উইকেট হারানোর পর ঠান্ডা মাথায় দলকে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান রহমত শাহ ও হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। কোনও রকম তাড়াহুড়ো করেননি তারা। নিজের অর্ধশতরান পূরণ ককেন রহমত শাহ। অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বেধে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জয় এনে দেন রহমত শাহ। ১ ওভারে বাকি থাকতেই ২ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করে আফগানরা। ৭৭ রানে রহমত শাহ ও ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন হাসমাতুল্লাহ শাহিদি।

(Feed Source: news18.com)