সাঙ্গ হল উৎসব। নিয়ম মেনে উড়ে গেল নীলকণ্ঠ পাখি। বিজয়া দশমী। ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে এবার কৈলাসে পাড়ি উমার। তবু যেন অন্তরের অন্তরজুড়ে রয়ে গেল অতৃপ্তি। শেষ হয়েও যেন হল না শেষ। উৎসবের এই ক’দিন যেন জীবনের একটা ছোট গল্প। আগামী বছরের প্রতীক্ষা নিয়ে উমার আবার স্বামীর ঘরে ফিরে যাওয়ার সময়।
সকাল থেকেই মন খারাপ সকলের। ক’দিন যেতে না যেতেই বেজে গেল বিসর্জনের বাজনা। চার দিনের পুজো শেষে আজ বিজয়া দশমী ৷ আনন্দে উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্ণতার সুর। সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে হয় দেবীবরণ। ঘট বিসর্জনের পর হয় সিঁদুরখেলা। একে অন্যকে সিঁদুরে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা। তারপর গঙ্গার ঘাটে মা-কে বিদায় জানানো।
বিজয়া দশমী মানেই কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ। মিষ্টি মুখে উমা-বিদায়। হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা। মনের কোণে বিজয়ার বিষাদ-মেঘ। চোখে জল ধরে রেখে হাসিমুখে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা। আসছে বছর আবার আসিস মা।
একদিকে পুজো শেষে যেমন দুঃখের আবহ। তেমনই কিন্তু রয়ে গেছে উৎসবের রেশ.। বিজয়ার কোলাকুলি, প্রণাম- বঙ্গজীবনের অঙ্গ। আর বিজয়া মানে অবশ্যই মিষ্টিমুখ৷ রসে ডোবা সাবেক রাজভোগ কিংবা হাল ফ্যাশনের চকোলেট সন্দেশ, বিজয়ার শুভেচ্ছা কি মিষ্টি ছাড়া হয়! তাই, বিসর্জনের বাদ্যি বাজতেই শুরু মিষ্টি কেনার ধুম।
(Feed Source: abplive.com)