নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে শিশুমনের, Meta-র বিরুদ্ধে মামলা আমেরিকার ৪০ প্রদেশের

নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে শিশুমনের, Meta-র বিরুদ্ধে মামলা আমেরিকার ৪০ প্রদেশের
নয়াদিল্লি: মার্কিন কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি করতে হয়েছে আগেই। আমেরিকায় ফের রোষানলে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের অভিভাবক সংস্থা Meta. আমেরিকার ৪০টির বেশি প্রদেশ এবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করল (Meta Lawsuits)। শিশুদের যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলার অভিযোগও উঠল। (Meta Faces Lawsuits)

ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে Meta-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ কে সামনে রেখে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে চলেছে Meta. এমন ভাবে নিজেদের ব্যবসাকে সাজিয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যের তোয়াক্কা না করে বেশি ক্ষণ সেখানে সময় কাটায় অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা।

নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিতা জেমস বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক জায়গায়। Meta-র মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিই এর জন্য দায়ী।  ভার্চুয়াল জগতের নামে মানুষকে লাগাতার বিভ্রান্ত করে চলেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথা জানতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে গ্রাহকদের জন্য সমস্ত বিষয় রয়েছে, তার ক্ষতিকারক দিকগুলিও তুলে ধরা হয়েছে আদালতে। বলা হয়েছে, এমন বিষয়বস্তু রাখা হয়েছে, যা শিশুমনে বিষ ঢেলে দেয়। কিন্তু অ্যালগোরিদম ব্যবহার করে এমন ভাবে সেগুলি চোখের সামনে তুলে ধরা হয় যে, তাতে কার্যত নেশা ধরে যায়।  তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।

আত্মপক্ষ সমর্থনে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে Meta-ও। তাদের দাবি, অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ৩০টির বেশি বিশেষ টুল চালু করেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না বলেও দাবি তাদের।

২০২১ সালে Meta-র এ প্রাক্তন এক কর্মী প্রথম সংস্থার দিকে আঙুল তোলেন। ফ্রান্সেস হোগেন জানান, ব্যবসায়িক লাভকে সামনে রেখে, Meta বেছে বেছে অল্পবয়সি গ্রাহকদের উপর নজরদারি চালায়। ফোটো শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে অল্পবয়সি মেয়েরা চেহারা এবং শরীর নিয়ে অবসাদে ভুগতে শুরু করে, উৎকণ্ঠা গ্রাস করে তাদের। অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় সেই সংক্রান্ত প্রমাণ উঠে আসার পরও নীরব থেকেছে Meta.

(Feed Source: abplive.com)