‘এখনও বাবার সামনে…!’, সেলিমকে পাশে নিয়ে সলমনের কোন দিক ফাঁস করলেন জাভেদ আখতার?

‘এখনও বাবার সামনে…!’, সেলিমকে পাশে নিয়ে সলমনের কোন দিক ফাঁস করলেন জাভেদ আখতার?

বলিউডের একসময়ের আইকনিক জুটি ছিলেন সেলিম খান আর জাভেদ আখতার। সেলিভ-জাভেদই ভারতের প্রথম চিত্রনাট্যকর জুটি যারা পেয়েছিল তারকা তকমা। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২৪টি সিনেমায়, যার মধ্যে ২০টি হিট হয়। ‘শোলে’, ‘জঞ্জীর’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ এবং ‘ডন’-এর মতো একাধিক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন তাঁরা। যদিও পরে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মতভেদের কারণে। তবে এখনও একে-অপরকে করেন সম্মান। সম্প্রতি দুই বর্ষীয়ান শিল্পী ভাগ নিয়েছিলেন এক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে। আর সেখানেই সলমন খানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাভেদ।

সেলিম আর সুশীলা-র তিন সন্তান। যার মধ্যে বড় সলমন খান। ছোট দুই ছেলে হলেন আরবাজ ও সোহেল। জাভেদ বলেন, ‘বাবা-মাকে যে সম্মান দেওয়া উচিত, তাঁদের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করা উচিত। তা জানে সেলিমের বড় ছেলে সলমন খান। দেশের অন্যতম বড় সুপারস্টার। তবে সে কখনোই নিজর শিকড় ভুলে যায়নি। এখনও বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকায় না।’

মাসখানেক আগে আরবাজ খানের চ্যাট শো-তে এসেও সলমনের প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছিল জাভেদকে। সেলিমের মেজ-পুত্রকে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি বরাবরই আমার প্রিয় সন্তান। আমার মনে আছে, ৩-৪ বছর বয়স থেকেই তুমি ছিলে আকর্ষণীয়।’ আর ভাইজান প্রসঙ্গে বলেন, ‘বরং সলমন খুব চুপচাপ থাকত। লাজুক। বাড়িতে কেউ এলে সেভাবে এসে কথা বলত না।’

দীর্ঘ ১২ বছর একসঙ্গে কাজ করার পর সেলিম এবং জাভেদ দু’জনে আলাদা পথে হাঁটতে শুরু করেন। ১৯৮২ সালে সেলিম-জাভেদ জুটি ভেঙে যায়। একস সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে সেলিম বলেছিলেন, ‘এক সন্ধ্যায় আমি জাভেদের সঙ্গে কথা বলতে ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখনই জাভেদ আমাকে জানায় ও আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় না আর। আমি কিছুই বলিনি। হাত বাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গাড়িতে ফিরে আসছিলাম।’

সেলিম জানিয়েছিলেন, সেই সময় জাভেদ চেয়েছিল তাঁকে গাড়ি অবধি তুলে দিতে। তবে তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি নিজের খেয়াল নিজেই রাখতে পারি।’

কাজের সূত্রে, সলমন খানকে এরপর দেখা যাবে টইগার ৩ সিনেমায়। যা মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ১২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫ কোটির অ্য়াডভান্সড বুকিং হয়ে গিয়েছে সলমন-ক্য়াটরিনার সিনেমার।

(Feed Source: hindustantimes.com)