জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৯ বিশ্বকাপ, শেষ চারে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-নিউ জিল্য়ান্ড (IND Vs NZ)। বৃষ্টির জন্য় খেলা রিজার্ভ ডে-তে গড়িয়ে ছিল। ট্রেন্টব্রিজে বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়া ১৮ রানে হেরেছিল। শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। কাট টু ২০২৩। সেই দুই দলই ফের মুখোমুখি হল বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে। না এবার, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল না। কিউয়িদের হারতে হল ৭০ রানে। ভারত বুক চিতিয়ে খেলল। কলার তুলেই ১২ বছর পর চলে গেল বিশ্বকাপের (৫০ ওভারের) ফাইনালে। কাপ আর ভারতের মাঝে দূরত্ব আর এক ম্য়াচের। আগামী রবিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল। ভারত টিকিট কেটে ফেলল। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া (Australia v South Africa, CWC 2023 Semi-Final 2)। এই ম্য়াচের জয়ী দল ফাইনাল খেলবে ভারতের সঙ্গে। নিউ জিল্য়ান্ডকে হারিয়ে ভারত নিল মধুর প্রতিশোধ। আর সেমিফাইনালের নায়ক হয়ে গেলেন মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)।
এক সময়ে মনে হচ্ছিল যে, এই ম্য়াচ হয়তো ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার মহাতারকা পেসার বুঝিয়ে দিলেন যে, আমার নামটা যেন কেউ ভুলে না যায়। একা এদিন তুলে নিলেন সাত উইকেট। ৯.৫ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ৫৭ রান। সিরাজ-বুমরাদের যেদিন ম্লান দেখাল, সেদিনই তাঁদের সিনিয়র জাত চিনিয়ে দিলেন। এদিন বিরাট কোহলির (১১৩ বলে ১১৭) ও শ্রেয়স আইয়ার (৭০ বলে ১০৫) জোড়া সেঞ্চুরি করলেন। শুভমনও করলেন ৬৬ বলে ৮০ রান। ভারত চার উইকেটে ৩৯৭ রান তুলেছিল নির্ধারিত ওভারে। তবে ভারতের অসাধারণ ব্যাটিং শোও যেন ঢাকা পড়ে গেল শামির আগুনে পারফরম্য়ান্সের সামনে। তাঁর সৌজন্য়েই ভারত ৩২৭ রানে বেঁধে দিল কালো জার্সিধারীদের।
ম্য়াচের সেরা হলেন শামি। খেলা শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আমি প্রচুর সাদা বলের ক্রিকেট খেলিনি। আমি ধরমশালায় নিউ জিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে ফিরেছিলাম। আমরা বলের বৈচিত্র্য নিয়ে প্রচুর কথা বলি। তবে আমি এখনও বিশ্বাস নতুন বলে ঠিকঠাক পিচ করে উইকেটে পাওয়ায়। আমি আজ উইলিয়ামসনের ক্য়াচ মিস করেছি। করা উচিত হয়নি। খুবই খারাপ লাগছিল। আমার ফোকাস ছিল বল যেন গতির সঙ্গেই বাতাসে কথা বলতে পারে। আমাদের সেই সুযোগ নিতেই হত। উইকেট অসাধারণ ছিল। দুপুর প্রচুর রান হয়েছে। মনের মধ্য়ে শিশিরের ভয় ছিল। তবে উইকেট থেকে ঘাস ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। যদি শিশির থাকত আর বল হড়কে যেত তাহলে, রান হত আরও।’
এদিন শামি রেকর্ডও করেছেন অনেকগুলি। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে দ্রুততম বোলার হিসেবে নিলেন ৫০ উইকেট। মাত্র ১৭ নম্বর ইনিংসেই করলেন রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল অজি পেসার মিচেল স্টার্কের। তিনি ১৯ ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫০ উইকেট। শামি প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের আসরে নিলেন ৫০ উইকেট। শামি বিশ্বকাপের আসরে প্রথম বোলার হিসেবে চতুর্থ ফাইফার (এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট) পেলেন। বলাই বাহুল্য় যে চলতি বিশ্বকাপে শামিই সর্বাধিক উইকেট শিকারি হয়ে গেলেন। ২৩ উইকেট চলে এল তাঁর। অজি স্পিনার অ্য়াডাম জাম্পা রয়েছেন দুয়ে। তাঁর ঝুলিতে ২২ উইকেট।
(Feed Source: zeenews.com)