অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ আলাদাই, রোহিতদের বার্তা সৌরভের দলের তারকার

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ আলাদাই, রোহিতদের বার্তা সৌরভের দলের তারকার
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বিশ সাল বাদ…

ফের এক ওয়ান ডে বিশ্বকাপের (ODI World Cup) ফাইনাল। ফের ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS)। ২০ বছর আগে ওয়ান্ডারার্সে মোক্ষলাভ হয়নি। কাপ আর ঠোঁটের যতটা দূরত্ব থাকে, ঠিক সেরকম দূরত্বে ট্রফি ফেলে রেখে এসেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। যে দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সেই দলের অন্যতম ছিলেন দীনেশ মোঙ্গিয়া। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাই এবার মনেপ্রাণে চান, দেশের মাটিতে অজ়ি দর্প চূর্ণ করে চ্যাম্পিয়ন হোক ভারত। বিশ্বকাপ উঠুক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাতে।

মোবাইল ফোনে মোঙ্গিয়া বলছিলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলছিলাম, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল গোটা দল। তবে ফাইনালে লক্ষ্যপূরণ হয়নি। বিশ্বকাপ স্পর্শ করার খুব কাছে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। তবে রোহিতরা চ্যাম্পিয়ন হবে বলেই বিশ্বাস। আর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ আলাদাই।’

১২ বছর আগে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ট্রফি উঠেছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে। শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। এবার ফের সুযোগ দেশে বিশ্বজয় করার। তবে ফাইনালে এবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এবার ট্রফি জিতলে হেক্সা সম্পূর্ণ করবে অস্ট্রেলিয়া।

২০০৩ সালের ফাইনালে ১২৫ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৩৫৯/২। জবাবে ভারত ২৩৪ রানে অল আউট হয়ে যায়। সেই ফাইনালে ৭ ওভার বল করেছিলেন মোঙ্গিয়া। দিয়েছিলেন ৩৯ রান। ব্যাট হাতে অবশ্য বড় রান পাননি। ১১ বলে ১২ রান করে ফেরেন অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের বলে। সেবারের দলের সঙ্গে এবারের ভারতীয় দলের তফাত দেখছেন কোনও? মোঙ্গিয়া বলছেন, ‘তুলনা করা ঠিক নয়। দুটি দলই ভাল। সেবার টানা আট ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিলাম। আর শুধু ফাইনাল দিয়ে সব কিছু বিচার করা যায় না। সেবার যেভাবে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, ইংল্যান্ডের মতো দলকে যেরকম দাপট দেখিয়ে হারিয়েছিলাম, দাদির (সতীর্থদের কাছে সৌরভ যে নামে প্রিয়) নেতৃত্ব, সচিন পাজির ব্যাটিং, শ্রীনাথ-জ়াহির-আশুদের (আশিস নেহরার ডাকনাম) বোলিং, রাহুল, ভাজ্জি (হরভজন সিংহ), বীরু (বীরেন্দ্র সহবাগ) – দারুণ দল ছিল। তাই ট্রফি না পাওয়ায় সেই দলকে খাটো করা যায় না। সেই ফাইনালে হারা নিয়ে এখন আর আক্ষেপ নেই।’

২০১৯ সালে ক্রিকেটকে পাকাপাকিভাবে বিদায় জানিয়েছেন মোঙ্গিয়া। যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতির ময়দানে। তবে ফের বাইশ গজে ফিরেছেন তিনি। চলতি মরশুমে ওড়িশার কোচ হয়েছেন মোঙ্গিয়া। অজ়ি-যুদ্ধের আগে রোহিতদের কী পরামর্শ দেবেন? মোঙ্গিয়া বলছেন, ‘কোনও পরামর্শ নয়। ভাল ছন্দে আছে। ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। ফাইনাল উপভোগ করুক। চাপমুক্ত হয়ে খেলুক। তাহলেই হবে।’

(Feed Source: abplive.com)