ছট পুজোর অনুষ্ঠানের মাঝে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনুশীলনের জার্সির রঙ ইচ্ছাকৃতভাবে গেরুয়া করে দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছিলেন তিনি। নেতাজি ইন্ডোরে একধাপ এগিয়ে তিনি বললেন, ‘সবকিছু গেরুয়া করে দিচ্ছে জোর করে। ভারতীয় দলের অনুশীলনের জার্সি করে দিয়েছে। ম্যাচে খেলার জার্সিও করতে চেয়েছিল, শুনেছি খেলোয়াড়দের বিরোধীতায় সেটা করতে পারেনি।’ সেখানেই তিনি আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের জন্যও ঘুরিয়ে দায়ী করেন কেন্দ্রের সরকারকেই। প্রসঙ্গত, শিবসেনার (উদ্ধবপন্থী) তরফেও দাবি করা হয়েছিল ওয়াংখেড়ে ফাইনাল হলে জিতত ভারত। মুম্বইয়ের যে মাঠের সঙ্গে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের নাম জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ক্রিকেটাররা এত ভাল খেলল, সব খেলা জিতল। আর পাপিষ্ঠরা যাওয়ার পরই ভরাডুবি হল’।
পাশাপাশি জি ২০ সহ বেশ কিছু মেগা ইভেন্টে ‘ভারত’ নাম ব্যবহারে কেন্দ্রীয় সরকারের জোর দেওয়াকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, ”আমরা জোটের নাম দিলাম ইন্ডিয়া, অমনি দেশের নাম ভারত হয়ে গেল। সংবিধান কী করে পরিবর্তন করবেন মোদিবাবু?’ আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তাঁর সংযোজন, ‘কলকাতা মেট্রো রেলের জন্য রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প করেছিলাম। আমরা করব আর তোমরা সব গেরুয়া করবে, তা হবে না’। বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে নির্বাচনের প্রাক্কালে পথে নামার কর্মসূচিও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ”আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে অম্বেডকরের মূর্তির সামনে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ঘণ্টা করে ধর্না দিন। আপনারা ২ ও ৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে মিছিল করুন’। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, ‘আজ ইডি-সিবিআই দিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে, আগামীদিন এই অফিসাররাই তোমাদের ধরবে। আমি মনে করি না বালুরা চোর। আমার ৪ জনকে গ্রেফতার করলে, ওদের ৮ জনকে গ্রেফতার করব’।
(Feed Source: abplive.com)