অন্ত্রে মাছি, খাবারে নাকি ছিল না! কোন ‘ফাঁক’ গলে ঢুকল তবে? ধন্দে চিকিৎসকরা

অন্ত্রে মাছি, খাবারে নাকি ছিল না! কোন ‘ফাঁক’ গলে ঢুকল তবে? ধন্দে চিকিৎসকরা

অন্ত্রের ক্যানসার হয়েছিল। তার পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন এক রোগী। এর জন্য পেটের ভিতর ঢোকানো হয় ক্যামেরাসহ একটি পাইপ। কিন্তু সেটা ঢোকানোর পর দেখা গেল অন্য একটি জিনিস। দেখা গেল পেটের ভিতর একটি আস্ত টাটকা মাছি! কিন্তু পেটের ভিতর সেটা গেল কী করে? খাবার দিয়ে? তাহলেও তো মাছিটি আস্ত থাকার কথা নয়! এই ঘটনাই এখন ভাবাচ্ছ চিকিৎসকদের। সম্প্রতি এই ঘটনাটিই রীতিমতো সারা ফেলে দিয়েছে চিকিৎসক মহলে।

ঠিক কী ঘটেছিল? কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই ক্যানসার কতটা ছড়িয়েছে তা দেখতেই বিশেষ পাইপ দিয়ে কোলনস্কোপি করা হয়। সেই পাইপের সঙ্গে জোড়া থাকে একটি ক্যামেরা। তা পেটের ভিতর ঢোকাতেই দেখা যায় সেখানে রয়েছে একটি মাছি। কিন্তু সেই মাছি সেখানে কী করে গেল? চিকিৎসকরা এই প্রশ্ন করেছিলেন রোগীকে। আগের রাতে কী খেয়েছিলেন তিনি? ৬৩ বছর বয়সি ওই রোগী বলেন, আগেরদিন রাতে তিনি পিজ্জা খেয়েছেন। সঙ্গে ছিল লেটুসপাতা। এছাড়া, আর কিছুই খাননি। খাবারে কি মাছি ছিল? রোগী জানান, খাবারের মধ্যে তেমন কিছুই ছিল না! থাকলে তা তাঁর চোখে পড়ত।

এই ঘটনাতেই রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। খাবার দিয়ে শরীরে মাছি না গেলে গেল কীভাবে? আর কীভাবেই বা সেটি আস্ত থাকল? সাধারণত অন্ত্রের ভিতর কোনও খাবার গেলে তা পিষে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। খুব শক্ত না হলে তার আর আস্ত চেহারা থাকে না। কিন্তু এখানে তা হয়নি।

এর পিছনে অবশ্য অন্য যুক্তি দিচ্ছেন মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএনটেরো বিভাগের প্রধান। চিকিৎসক ম্যাথিউ বেচটোল্ড বলেন, ওই মাছি অন্ত্রে দুটো জায়গা দিয়ে ঢুকতে পারে। এক মুখ, দুই পায়ু। অর্থাৎ, খাবারের মাধ্যমে ঢুকতে পারে ওই মাছি। আবার অন্যদিকে পায়ুর ফাঁক গলেও ঢুকে যেতে পারে মাছি। কিন্তু পায়ু দিয়ে মাছি ঢুকলে সেটি অন্ত্র পর্যন্ত পৌঁছাল কী করে? কারণ পুরো পথটাই তো অন্ধকার। ফলে এই সম্ভাবনাও যে খুব সত্যি, তা মনে করছেন না ম্য়াথিউ। আপাতত এই নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

(Feed Source: hindustantimes.com)