গত এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৭। চিকুনগুনিয়াতে এমনটাই অবস্থা বিহারের গয়া জেলার পাটোয়া টোলি এলাকার। গত এক মাসে সেখানকার অবস্থা রীতিমতো ভাবাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। হু-এর তরফেও এবার এই এলাকাকে নজরদারির আওতায় আনা হল। রবিবার গয়ার সিভিল সার্জেন চিকিৎসক রঞ্জন কুমার সিং এমনটাই জানালেন সংবাদমাধ্যমকে। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের গায়ে র্যাশ, জ্বর ও গায়ে ব্যথা দেখা দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই রোগে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসক রঞ্জন কুমার সিংয়ের কথায়, আগামী সপ্তাহেই হু-এর তরফে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে পৌঁছাবে। সেই দলটিই গোটা এলাকা খতিয়ে দেখবে। রোগটি আদতে কতটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, বর্তমানে কী পরিস্থিতি, তাও খতিয়ে দেখবে হু-এর দল। তবে ইতিমধ্যেই সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহে সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। এমনকী পরিস্থিতিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে খবর। সময়মতো নজরদারি চলছে বলেই রোগটি বাড়তে পারেনি বলে জানান রঞ্জন।
ইতিমধ্যেই এই রোগের প্যাথোজেনের নমুনা সংগ্রহ করে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি। প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই এই রোগটি নজরে আসতে শুরু করে চিকিৎসকের। এর পর থেকেই উঠে পড়ে লাগে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নজরে আসতেই তৎপরতা শুরু হয়। দীপাবলির সময় থেকেই এই রহস্যময় রোগটি নিয়ে চিন্তা বাড়তে থাকে স্বাস্থ্যমহলে। ২-৪ দিন ধরে গায়ে র্যাশ, জ্বর, গাঁটে গাঁটে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মূলত হাঁটু, শরীরের নিচু অংশের জয়েন্টগুলিতে ব্যথা হতে থাকে।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক রঞ্জন কুমার সিং নিজেই ল্যাব পরীক্ষককে নিয়ে ওই এলাকায় যান। সেখান থেকে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। রোগটির প্রকৃতি ধরার জন্য ১০টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। এই সিরামই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পাটোয়া টোলি একেই ঘিঞ্জি এলাকা। তার উপর সেখানের বেশ কয়েকটি ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা অবস্থায় পড়ে থাকে। প্রাথমিক অনুমান, এইগুলিই রোগের উৎস।
(Feed Source: hindustantimes.com)