‘আড়াই বছর বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাইনি, সেই সুযোগ করে দিল সিনেমা’

‘আড়াই বছর বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটাইনি, সেই সুযোগ করে দিল সিনেমা’

তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: ‘মিঠাই’ থেকে ‘প্রধান’… গত কয়েক মাসে বেশ বদলে গিয়েছে তাঁর রুটিনটা। আউটডোর শ্যুটিং থেকে ডাবিং.. এই সমস্ত কাজে যেমন ব্যস্ত থাকতে হয়েছে, তেমনই মিলেছে অবসরও। ধারাবাহিকের মতো রোজ কলটাইমে বেরনোর তাড়া নেই। একদিকে নিজেকে বড়পর্দায় দেখার অধীর অপেক্ষা.. অন্যদিকে নতুন কাজের পরিকল্পনা… তাঁর এক ছুটির দুপুরে, এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে গল্প জমালেন পর্দার রুমি ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundoo)।

প্রথম ছবি, দেব (Dev)-এর বিপরীতে অভিনয়, শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? সৌমিতৃষা বলছেন, ‘দেবদা সুপারস্টার.. এটা জেনেই শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথম থেকেই সেই পর্দাটা সরিয়ে দিয়েছিলেন দেবদাই। তারকাদ্যুতির বাইরে, উনি একজন ভীষণ ভাল সহ-অভিনেতা। প্রথমদিন শ্যুটিংয়ে দেবদা আমায় বলেছিলেন, আমার নাকি চোখ খুব চঞ্চল। সেটাকে শান্ত করতে হবে। আসলে ‘মিঠাই’ -এর চরিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্য একটা দীর্ঘ সময় আমি খুব তাড়াতাড়ি কথা বলেছি, চঞ্চল থেকেছি। তবে রুমির চরিত্রটা ভীষণ শান্ত, শিক্ষিত। ‘মিঠাই’ থেকে রুমি হওয়ার পথে, নিজের চঞ্চলতা কমালেও, আমার চোখে নাকি তখনও সেই ‘মিঠাই’। প্রথম দিনেই দেবদার কথার গুরুত্ব বুঝেছিলাম। অভ্যাস করেছিলাম শান্ত হয়ে কথা বলার। উনি তো একজন খুব বড় তারকা, সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের এত খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর না রাখলেও পারেন। তবে দেবদা সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন।’

‘মিঠাই’-এর পরে নিশ্চয়ই আরও ধারাবাহিক আর ছবির অফার এসেছে। দর্শকেরা সৌমিতৃষাকে এরপরে কোথায় দেখবেন? অভিনেত্রী বলছেন, ‘ধারাবাহিক আমায় খ্যাতি দিয়েছে, ভালবাসা দিয়েছে। তবে সেই সবকিছু ভুলে আমি শূন্য থেকে বড়পর্দার কাজ শুরু করতে চাই। অপেক্ষা করছি পছন্দের চরিত্রের জন্য। তবে আমি বিশ্বাস করি জীবন ভীষণ অনিশ্চিত। বড়পর্দার চরিত্রের অপেক্ষা করতে করতে যদি ছোটপর্দার দারুণ কোনও চরিত্র পাই, সেখানেও অভিনয় করতে পারি। তবে এখন নজরে কেবল ‘প্রধান’। একসঙ্গে ২-৩টে কাজ করব এত বড় তারকা এখনও হয়ে যাইনি।’

সিনেমায় কাজ নাকি বদলে দিয়েছে সৌমিতৃষার জীবনযাত্রাও! পর্দার রুমি বলছেন, ‘আমার এখনও মায়ের হাতে খাওয়া অভ্যাস। বাবা ফলের রস করে দেয়। ধারাবাহিকের সময় মাঝেমাঝেই বাড়ি থেকে খেয়ে যেতে পারতাম না। মা টিফিনে করে দিয়ে দিতেন। কিন্তু সেই নিজের হাতে খেয়ে আমার মন ভরত না। একটু আগে শ্যুটিং শেষ হলেই টিফিন নিয়ে বাড়ি চলে আসতাম। মাকে বলতাম খাইয়ে দাও। সিনেমার কাজে অনেকটা সময় পাচ্ছি। কখনও মা-বাবাকে নিয়ে কফি খেতে যাচ্ছি.. কখনও আবার সিনেমা দেখছি একসঙ্গে। আড়াই বছর ‘মিঠাই’ চলাকালীন বাবা-মাকে এতটা সময় দিতে পারিনি। সেই সুযোগ করে দিল সিনেমা।’

(Feed Source: abplive.com)