শান্তিনিকেতন সফরে এসে এদিন ফটকের নামের ফলক উন্মোচন করে, তার শুদ্ধিকরণও করেন রাজ্যপাল। কবিগুরুর ‘প্রাণের আরাম’ ছাতিমতলায় সেই ফলকের উন্মোচন করা হয়। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক। রাজ্যপাল রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা, ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ ঘুরেও দেখেন৷
বন্দেভারত এক্সপ্রেসে চেপে এদিন সকালে শান্তিনিকেতন পৌঁছন রাজ্যপাল। রথীন্দ্র অতিথি গৃহে প্রথমে বিশ্রাম নেন৷ দুপুরে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালাতেও আসেন তিনি। ঘুরে দেখেন গুরুদেবের ব্যবহৃত সামগ্রী। সেখান থেকে ছাতিমতলায় পৌঁছন। রবীন্দ্রনাথের ছবি দেওয়া একটি শ্বেত পাথরের ফলক রাজভবন থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই ফলকে লেখা ছিল ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’।
সেখানেF ফলকটির উন্মোচন এবং শুদ্ধিকরণ করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, ফলকটি রাজভবনের উত্তর ফটকে বসবে৷ রাজভবনের উত্তর গেটের নামকরণ করা হবে ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিককে পাশে নিয়ে রবীন্দ্রভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের শুধু নয়, গোটা বিশ্বের গর্ব। তাঁর সৃষ্টি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। আমি গর্ব বোধ করি এমন বিখ্যাত মানুষের কর্মভূমিতে আসতে পেরে।”
ঘটনাচক্রে যে শান্তিনিকেতনে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল, রবীন্দ্রনাথের নাম ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কের সূচনাও হয় সেখানেই। রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠা করা বিশ্বভারতী সম্প্রতি UNESCO হেরিটেজের স্বীকৃত পায়। সেই স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে বিশ্বভারতী জুড়ে ফলক বসলেও, তাতে রবীন্দ্রনাথের কোনও উল্লেখ ছিল না। পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিশ্বভারতীর সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নামই চোখে পড়ে।
সেই নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলন শুরু হলে, কেন্দ্রের তরফে ওই ফলক পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নয়া ফলকে শুধু রবীন্দ্রনাথেরই উল্লেখ থাকবে বলে জানানো হয়। শ্বেতপাথরের ফলক আসার আগে সাময়িক ভাবে সেই মতো ফলক বসানো হয়েছে আপাতত। আর তার ঠিক পরই শান্তিকেতনে গিয়ে রাজভবনের উত্তর ফটকের নাম রবীন্দ্রনাথের নামে করার ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল।
(Feed Source: abplive.com)