গর্ভাবস্থায় মিষ্টি খাওয়া কতটা নিরাপদ? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় মিষ্টি খাওয়া কতটা নিরাপদ? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

এইচটি লাইফস্টাইলের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে, এমবিবিএস এবং পুষ্টিবিদ ডা: রোহিনী পাটিল, আপনার গর্ভাবস্থায় মিষ্টির প্রতি লোভ দূর করতে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি দিয়েছেন।

সুষম খাবার: রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে এবং আপনার দেহের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠা শিশুকে পুষ্ট করার সময় মিষ্টি বা চিনির প্রতি লোভ কমাতে প্রোটিন, গোটা শস্য, ফল এবং সবজির মতো সুষম খাবারগুলিকে খাদ্যতালিকায় অগ্রাধিকার দিন।

জলই জীবন: সত্যিকারের ক্ষুধা এবং তৃষ্ণার মধ্যে পার্থক্য করতে পরিমাণ মতো জল পান করে ভালভাবে হাইড্রেটেড থাকুন, এটি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় চিনি খাওয়ায় লোভকে এড়াতে সাহায্য করবে।

পুষ্টিকর বিকল্পগুলি বেছে নিন: একটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিষ্টির লোভ মেটাতে দই, বাদাম বা তাজা ফলের মতো পুষ্টিকর খাবারগুলিকে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন ।

অল্প সময়ের ব্যবধানে খাবার খান: নিয়মিত অল্প সময়ের ব্যবধানে হালকা খাবার এবং স্ন্যাকস খাওয়া আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে এবং চিনির প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ঠেকাতে সাহায্য করে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস: আপনার গর্ভাবস্থায় চিনির লোভের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ স্ন্যাকস যেমন চর্বিহীন মাংস, পনিরকে আপনারা খাবারের তালিকায় রাখুন।

বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন: হরমোনের ওঠানামা পরিচালনা করতে এবং স্ট্রেস কমাতে আপনি পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর দিন।

আরও একজন রন্ধনসম্পর্কীয় পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ এশাঙ্কা ওয়াহি তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

মূল কারণ বোঝা: গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন, অনিয়ন্ত্রিত মিষ্টির আকাঙ্ক্ষা আপনারা শরীরে পুষ্টির অভাবের সংকেত হতে পারে। এটি মোকাবেলা করার জন্য, এশাঙ্কা পুষ্টির ঘাটতি চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন।

মিষ্টির খাওয়ার ইচ্ছে আর চিনি খাওয়ার ইচ্ছের মধ্যে পার্থক্য করা: চিনির খাওয়ার ইচ্ছে এবং মিষ্টি খাবার ইচ্ছের মধ্যে পার্থক্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনির আকাঙ্ক্ষা প্রায়শই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি নির্দেশ করে, তখন মিষ্টির লোভ স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হতে পারে। যদি আপনি চিনির জন্য আকুল হন, তাহলে আপনার ভিটামিন গ্রহণ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করুন এবং ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

স্বাস্থ্যকর বিকল্প: ইশাঙ্ক মিষ্টির লোভ মেটাতে একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর বিকল্পের পরামর্শ দিয়েছেন। বাদাম, মাখন এবং বেরি বা কোকো পাউডার দিয়ে একটি খাবার প্রস্তুত করে খেতে পারেন। এছাড়াও খেজুর হল মিষ্টির একটি প্রাকৃতিক উৎস, আপনি চাইলে এটিও খেতে পারেন।

সুষম খাদ্য: আপনার গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য বজায় রাখা অপরিহার্য। ইশাঙ্কা আপনার খাবারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফল, সবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য।

হাইড্রেটেড থাকুন: কখনও কখনও ডিহাইড্রেশনকে আপনি খিদে ভেবে ভুল করে থাকেন। চিনিযুক্ত স্ন্যাকস খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল পান করুন।

গর্ভাবস্থা বিভিন্ন খাবারের প্রতি লোভ দেখা দেয়, তবে অবিরাম চিনির লোভের দিকে মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য, কারণ এটি একটি অন্তর্নিহিত পুষ্টির ঘাটতি নির্দেশ করে। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং আপনার খাদ্যের ভারসাম্য, লোভের মূল কারণ চিহ্নিত করা এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলির বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনা করুন।

(Feed Source: hindustantimes.com)