কলকাতা: প্যারা তিরন্দাজিতে সোনা শীতল দেবীর। প্রথমবারের জন্য বিজয় হাজারে ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হরিয়ানা। রবিবার জোহানেসবার্গে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ওয়ান ডে। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।
স্বপ্নের মরশুম
স্বপ্নের মরশুম কাটছে তার। খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে কম্পাউন্ড তিরন্দাজিতে ওপেন বিভাগে সোনা জিতল।
শীতল দেবী (Sheetal Devi)। জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্ময় তিরন্দাজ। যার দু’হাত নেই। পা দিয়েই নিশানা ভেদ করে। শনিবার নয়াদিল্লিতে ১৪১ পয়েন্ট নিয়ে সোনা জিতল। উত্তর প্রদেশের জ্যোতি বালিয়াকে হারিয়ে দিল। ১৩৮ পয়েন্ট অর্জন করে রুপো জিতেছে জ্যোতি।
বয়স মাত্র ১৬। অথচ তার জীবনের ওপর লেখা হয়ে গিয়েছে আস্ত একটি বই! এশিয়ান প্যারা গেমসে (Hangzhou Asian Para Games 2023) সবার নজর কেড়ে নিয়েছিল শীতল দেবী। শুধু দুটি সোনা ও একটি রুপো জেতার জন্য নয়। বরং অসাধ্য সাধনের জন্য। লড়াকু মনোভাব ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জন্য। সেই ইচ্ছাশক্তিকে মূলধন করেই তিরন্দাজিতে (Armless Archery) বিশ্বের সেরার সিংহাসন ছিনিয়ে নিয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর এখন ভারতের ষোড়শী শীতল।
বিজয় হাজারে চ্যাম্পিয়ন হরিয়ানা
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেই হরিয়ানা (Haryana vs Rajasthan) ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল শনিবার। ফাইনালে রাজস্থানকে ৩০ রানে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য বিজয় হাজারে ট্রফি (Vijay Hazare Trophy) জিতল তারা। তাও যুজবেন্দ্র চাহালের মতো তারকাকে ছাড়াই।
টুর্নামেন্টে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হল হরিয়ানা। শনিবার রাজকোটে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়ামে তাদের সামনে ছিল রাজস্থান। যারা কর্নাটকের মতো শক্তিশালী দলকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিল। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিলেন দীপক হুডা। যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেন বঢোদরার হয়ে। কিন্তু ক্রুনাল পাণ্ড্যর সঙ্গে ঝামেলা তাঁর কেরিয়ারের গতিপথই পাল্টে দেয়। বঢোদরা ছেড়ে রাজস্থানে যোগ দেন। এবার তিনি রাজস্থানের অধিনায়কও। নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া ছিলেন হুডা। কিন্তু ফাইনালে কথা বলল না তাঁর ব্যাট। ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন। শূন্য করে ফিরতে হল হুডাকে। হরিয়ানার ২৮৭/৮ তাড়া করতে নেমে ৪৮ ওভারে ২৫৭ রানে শেষ হয়ে গেল রাজস্থান। প্রথমবারের জন্য ঘরোয়া ওয়ান ডে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল কপিল দেবের রাজ্য হরিয়ানা। যে রাজ্য থেকে খেলে উঠে এসেছিলেন বলে বিশ্বক্রিকেটে কপিলের নামকরণই হয়ে গিয়েছিল হরিয়ানা হারিকেন।
ইস্টবেঙ্গলের ড্র
এক দল আইএসএলে (ISL) অন্যতম শক্তিশালী। অন্য দলের ঐতিহ্য ও ইতিহাস সোনায় মোড়া হলেও, আইএসএলের মঞ্চে এখনও পর্যন্ত মনে রাখার মতো কিছু করেনি। কিন্তু পরাক্রমশালী মুম্বই সিটি এফসি-কে (Mumbai City FC) তাদের ঘরের মাঠে রুখে দিয়ে লিগ জমিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)। শনিবার মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে খেলা শেষ হল গোলশূন্য ভাবে।
ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় মুম্বই অনেক বেশি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ভাল খেলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন গিল। ইস্টবেঙ্গলের কাছেও বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল। কিন্তু শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টের স্বপ্নপূরণ হয়নি। সব মিলিয়ে অবশ্য লাল-হলুদ শিবির স্বস্তিই পাবে। কারণ, মরণপণ লড়াই করেছেন ফুটবলাররা। জমাট রক্ষণ এবং দুর্দান্ত গোলকিপিং। অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে আটকে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
রবিবার ইন্দো-প্রোটিয়া
আগামীকাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের লড়াইয়ে খেলতে নামছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে মুখোমুখি হবে ২ দল। একেবারে তরুণ দল নিয়ে ওয়ান ডে সিরিজে খেলতে নামছে টিম ইন্ডিয়া (Indian Cricket Team)। বিশেষ করে বোলিং ডিপার্টমেন্ট। বুমরা, শামি, সিরাজ কোনও বড় মুখ নেই। মুকেশ কুমার ও অর্শদীপ সিংহ রয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজে দেখা যাবে কে এল রাহুলকে (KL Rahul)। স্পিন বোলিং বিভাগে অবশ্য দীর্ঘদিন পর কুলচা জুটিকে দেখা যাবে।
ঐতিহাসিক জয় মেয়েদের
ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতীয় মহিলা দলের (Indian Women’s Cricket Team) এক ঐতিহাসিক জয়ের সাক্ষী হয়ে থাকল ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (INDW vs ENGW) ৩৪৭ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় পায়। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৩৬ ও ১৩১ রানের অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৬৭ রান করার পাশাপাশি দুই ইনিংসে যথাক্রমে পাঁচ ও চারটি করে মোট নয়টি উইকেট নেন। ব্যাটে, বলে এই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন দীপ্তি শর্মা (Deepti Sharma)।
ম্যাচে দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য কিন্তু পিচকে কিছুটা কৃতিত্ব দেন দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা এই টেস্ট ম্যাচের জন্য ভীষণভাবে অপেক্ষা করে ছিলাম। এই অনুভূতিটা দারুণ এবং আমরা কিন্তু আমাদের পরিরকল্পনা মতোই বোলিং করেছি। আমরা ম্যাচের প্রথম দিনে খুবই ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিংটা করেছিলাম। পার্টনারশিপ গড়ার লক্ষ্যে ছিলাম। ব্যস এটুকুই। আমি বোলিং করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম এবং নিজের উপর আস্থাও ছিল। হ্যারি দি (হরমনপ্রীত) আমাকে নিজের জায়গায় বল রাখার কথা বলছিল, পিচ থেকে তো মদত ছিলই। ও আমাদের পরের টেস্টেও এমনভাবেই বল করে যাওয়ার কথা বলে।’
(Feed Source: abplive.com)