বাংলা জুড়ে শীতের আমেজ জাঁকিয়ে বসছে। ক্রিসমাস, নববর্ষের উৎসবের দিনগুলিও আসতে চলেছে সপ্তাহ পেরোলেই। গ্রীষ্ম প্রধান দেশে এই শীতল আবহাওয়া যেমন আমাদের আনন্দে উদ্বেলিত করে, তেমনি শীতকালে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শীতের সময় সকাল বেলা লেপ-কম্বল ছেড়ে বেরতে কারই বা ভালো লাগে! কিন্তু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে আরাম ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে মাঠে। হাঁটাহাঁটি, যোগ ব্যায়াম কিংবা নিয়মিত দৌড়ের মাধ্যমেই আপনি শীতকালেও থাকতে পারেন এবারে সুস্থ, চনমনে।
মনিপাল হাসপাতাল, গুরুগ্রাম-এর চিকিৎসক ডক্টর মোহিত শরণ জানাচ্ছেন, ‘সাধারণ সময়ে দিনে দশ হাজার ফুট স্টেপ হাঁটা উচিত মানুষের। তবে শীতের সময় উষ্ণ পরিবেশে বাড়ির মধ্যেই বয়স্কদের হাঁটাহাঁটি করা উচিৎ। শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকায় ধমনী সংকুচিত হওয়ায় হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধির প্রয়োজন হয়। ইনডোর ওয়াক বা যোগব্যায়াম অনুশীলন করা প্রয়োজন এই সময়ে। দিনে অন্তত সাত হাজার ফুট স্টেপ হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন ড:মোহিত। অন্য এক চিকিৎসক শৈত্য প্রবাহ থেকে বাঁচবার জন্য কতগুলি পরামর্শ দিয়েছেন। কোল্ড ওয়েভ বা শৈত্য প্রবাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা এবং সুস্থ থাকবার জন্যই পদক্ষেপগুলি নীচে আলোচনা করা হল।
আবহাওয়া সম্পর্কে অবগত থাকুন: শৈত্য প্রবাহের তীব্রতা এবং সময়কাল সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য জানুন। শীতের দিনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং সতর্কতাগুলির ওপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য।
শীতের দিনে গরম পোশাক পরুন: শীতের দিনে শীতল পরিবেশে শরীর সুস্থ ও চনমনে রাখতে অবশ্যই গরম পোশাক পরুন। একটি মোটা পোশাকের পরিবর্তে দুটি তিনটি স্তরে পোশাক পরলে অনেক সময় শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য সহজে বজায় থাকে। অত্যন্ত বেশি শীত পড়লে টুপি গ্লাভস এবং মজা ব্যবহার করুন সুস্থ থাকবার জন্য।
অতিরিক্ত শীতে ঘরে থাকুন: বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য অপ্রয়োজনীয় ভাবে শীতের দিনে অতি ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘরের বাইরে থাকা উচিৎ নয়৷ বিশেষত গভীর রাত বা ভোরের দিকে এই সতর্কতা পালন করা উচিত।
ঘরের উষ্ণতা বজায় রাখুন: আপনার বাড়িতে তাপমাত্রা ধরে রাখবার জন্য হিট স্পেস বা ফায়ার স্পেস ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই আগুন থেকে সতর্ক থাকুন। কার্বন মনোক্সাইড-এর ফলে বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও রাখুন ঘরে। আগুন পোহাতে গিয়ে দাহ্য পদার্থগুলি থেকে সতর্ক থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া একটু বেশি পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস যেমন জল ওষুধ ইত্যাদি সঞ্চয় করে রাখুন।
(Feed Source: hindustantimes.com)