কেন ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় ভিড় করতে বারণ করছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?

কেন ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় ভিড় করতে বারণ করছে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ?
অযোধ্যা : পাখির চোখ ২২ জানুয়ারি। সেজে উঠছে রামজন্মভূমি Ayodhya in Uttar Pradesh)। এদিনই বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দির উদ্বোধন হবে  অযোধ্যায়। আর রামলালাকে চোখের দেখা দেখতে সারা দেশ থেকে পর্যটকের ঢল নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে চান বহু মানুষই। রাম লাল্লাকে (Ram Lalla) গর্ভগৃহে স্থাপন করার মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকতে চান লক্ষ লক্ষ রামভক্ত।

মন্দিরের উদ্বোধন অনেকের কাছেই একটি মহান স্বপ্নপূরণ। আগামী মাসে তাই রামজন্মভূমিতে মানুষের ঢল নামতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে তৈরি রামের শহর। এলাকার বাসিন্দারা বাড়িতেই হোমস্টে করে অতিথিদের জায়গা দিতে তৈরি হচ্ছে।

মন্দির উদ্বোধনকে পাখির চোখ করে  একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে অযোধ্যা । উদ্বোধনের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এখানে হোটেল-হলিডে হোম ও অন্যান্য সম্পত্তির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বিনিয়োগকারী, হোটেল মালিক এবং ব্যবসায়ীরা শহরে ছুটে এসেছেন। দেখা যাচ্ছে, থাকার জায়গায় খরচ তিনগুণ বাড়িয়েছেন তাঁরা।

মন্দির কর্তৃপক্ষও ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’-র কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে রামমন্দিরের নিরাপত্তা। পর্যটকরা যাতে কোনও মতেই অসুবিধেয় না পড়েন, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া চলছে। শহর জুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।  নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে ড্রোন ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

মন্দিরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অযোধ্যার মেগা ইভেন্টের জন্য প্রায়  ৪ হাজার জন সাধু আসতে পারেন। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও।

কিন্তু এরই মধ্যে NDTV কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাম মন্দির ট্রাস্টের সেক্রেটারি (Ram Mandir Trust Secretary) চম্পত রাই ২২ তারিখ অযোধ্যায় ভিড় জমাতে বারণ করেন। বরং তাঁর পরামর্শ সকলে যে-যার এলাকায় মন্দিরে গিয়ে এর উদযাপন করুন, তা সে ছোট বা বড় যাই হোক না কেন ! কারণ তাঁরা জানিয়েছেন, এত মানুষ এলে সকলকে খাওয়ানো এ আতিথ্য দানের বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত করতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যম  ANI কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে Champat Rai আবারও সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যাঁদের সাংবিধানিক প্রোটোকল মেনে চলতে হয়, তাঁদের ওই সময় ট্রাস্ট  ঠিক মতো পরিষেবা দিতে পারবে না। তাই ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলাই ভাল।

তিনি আরও জানান যে গর্ভগৃহ প্রস্তুত, মূর্তিটিও প্রস্তুত, তবে পুরো মন্দিরটি তৈরি হতে আরও দুই বছর সময় লাগতে পারে। প্রাণ-প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের বৈদিক আচার অনুষ্ঠান মূল অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে ১৬ জানুয়ারি শুরু হবে। অভিষেক অনুষ্ঠানের মূল আচার পালন করবেন লক্ষ্মী কান্ত দীক্ষিত। সরকার অযোধ্যায় ৪.৪০ একরের একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণেরও পরিকল্পনা করেছে। প্রকল্পের আওতায় পর্যটন কেন্দ্রে একটি পর্যটন অফিস, যাত্রীদের আবাসন, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সেন্টার, ফুড কোর্ট, শপিং মার্ট এবং পার্কিং স্পেসসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

(Feed Source: abplive.com)