ভ্যাকসিন নিলেই কমবে কোলেস্টেরল! ঝুঁকি কমবে হৃদরোগেরও, চমকে দেওয়ার মতো আবিষ্কার

ভ্যাকসিন নিলেই কমবে কোলেস্টেরল! ঝুঁকি কমবে হৃদরোগেরও, চমকে দেওয়ার মতো আবিষ্কার

শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কোলেস্টেরল। কোষগঠন ও হরমোনের ভারসাম্যের জন্য প্রোয়জনীয় এই উপাদান। তবে রক্তে এর মাত্রা বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই ধমনীগুলি আটকে যায় যার ফলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয় এবং স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ প্রাণ হারায়। এই স্বাস্থ্য সংকট মোকাবেলায় একটি সম্ভাব্য অগ্রগতি এসেছে ইউনিভার্সিটি অফ নিউ মেক্সিকো স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকদের কাছ থেকে।

তারা একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন যা ‘খারাপ’ বা এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করতে পারে। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই রক্তনালীগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এনপিজে ভ্যাকসিনসে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায়, আণবিক জেনেটিক্স এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের রিজেন্টসের অধ্যাপক ব্রাইস চ্যাকারিয়ানের নেতৃত্বে একটি দল জানিয়েছে, যে ভ্যাকসিনগুলি পিসিএসকে ৯ ইনহিবিটারস নামে পরিচিত ব্যয়বহুল শ্রেণীর ওষুধের মতোই কার্যকরভাবে এলডিএল কোলেস্টেরল হ্রাস করে।

ডঃ চ্যাকারিয়ান জানিয়েছেন, ‘আমরা এমন একটি পদ্ধতি বিকাশের চেষ্টা করতে আগ্রহী যা কম ব্যয়বহুল এবং এবং সহজে বহু মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে। এই ভ্যাকসিন কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, এমন জায়গাগুলিতেও পৌঁছবে যেখানে খুব ব্যয়বহুল থেরাপিগুলি বহন করার মতো সংস্থান নেই। আপনার ইমিউন সিস্টেম এই প্রোটিনের বিরুদ্ধে সত্যিই শক্তিশালী অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেে। আমরা যে প্রাণীদের টিকা দিয়েছি, তাদের দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা মারাত্মক ভাবে হ্রাস পাচ্ছে তা দেখা গিয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে।’

ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকো স্কুল অব মেডিসিনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১০ বছর ধরে ইঁদুর ও বানরের ওপর এই টিকা পরীক্ষা করা হয়েছে। ড. চ্যাকেরিয়ান আরও জানান,  ‘আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে মানুষের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য তহবিল খুঁজে বের করা। এই প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর এবং কয়েক মিলিয়ন ডলার সময় নিতে পারে, তবে বিশুদ্ধ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা অবশ্যই মূল্যবান হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)